প্রশান্ত কিশোর দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর আজ প্রথমবার পাটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের আগামী প্রচারমূলক অনুষ্ঠান ‘বাত বিহার কি’-র ঘোষণা করলেন জেডিইউ-র প্রাক্তন সহ সভাপতি তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তাঁর মেন্টর নীতীশ কুমারকে বিধানসভা ভোটের প্রচারের জন্য উন্নয়নের বড়াইকে কড়া ভাষায় বিঁধে তিনি বলেছেন, লালুপ্রসাদের পর রাজ্যে নীতীশ কুমারের সরকার আসার পর গত ১৫ বছরে বিহার অনেকটাই উন্নতি করেছে। অথচ আজও ঝাড়খণ্ডের পরই দেশের অন্যতম গরিব রাজ্য বললে বিহারের নাম আসে। রাজ্যের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দৈন্য দশা নিয়ে সরব তিনি। প্রশান্তের ক্ষোভ, ‘২০০৫ সালে বিহার ছিল দেশের সব চেয়ে দরিদ্র রাজ্য। এবং এখনও তাই আছে। নীতীশ কুমারের প্রশাসনিক ক্ষমতার তুলনা হয় না। নীতীশজি লালুজির আমলের সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু তুলনা যদি করতেই হয় তাহলে গুজরাট, কর্নাটক, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর কাছে বিহারের অবস্থান কোথায়।’
তাঁর দল থেকে বহিষ্কার নিয়ে প্রশান্ত বললেন, নীতীশ তাঁকে পুত্রসম দেখতেন এবং তিনিও নীতীশকে পিতৃপ্রতিম বলেই মানতেন। নীতীশ তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই তিনি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই তাঁদের দুজনের মধ্যে মতাদর্শগত ফারাক ক্রমশ বেড়েছে বলে এদিন সাফ জানালেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, নীতীশজি তাঁদের বুঝিয়েছিলেন, জেডিইউ সবসময় গান্ধীজির চিন্তাধারা মেনে চলবে। কিন্তু যে দল গান্ধী হত্যাকারী গডসের প্রতি দুর্বল সেই বিজেপির হাত কেন এখনও ধরে রয়েছে জেডিইউ তা নিয়ে মঙ্গলবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন জেডিইউ সহ সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, ‘গান্ধী এবং গডসে একসঙ্গে যেতে পারে না। জেডিইউ-কে তার অবস্থান পরিষ্কার করতেই হবে।’ নিজের অনুষ্ঠান ‘বাত বিহার কি’–তে রাজ্যের যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে চাইছেন দুঁদে নির্বাচনী বিশ্লেষক। সরকার গড়তে তরুণ প্রজন্মের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন তিনি।