কলকাতা

প্রসুতির মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসককে চড়

কলকাতাঃ আজ ভোরে হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয় রোগিনীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। এরপর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয় দেখেন তার মৃত্যু হয়েছে। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিবার। আলিপুর থানায় অভিযোগ জানানো হচ্ছে পরিবারের তরফ থেকে। মৃতার নাম পিঙ্কি ভট্টাচার্য। অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতিতেই পিঙ্কির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ভিজিটিং আওয়ারে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ ছিল। কিন্তু রাত ৩টে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফোন যায়।  ফোনে পিঙ্কি ভট্টাচার্যের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। সকাল থেকে হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতার পরিবারের লোকেরা। পরিবারের দাবি, এখনকার দিনে সিজার করতে গিয়ে কেউ মারা যেতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের গাফিলতি। তাই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেই দায় নেওয়া তো দূর, উল্টে পরিবারের কাছে হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নাকি চাপ দেন চিকিৎসক ও কর্মীরা। প্রসূতির মৃত্যুর কারণও তাঁরা নাকি বলতে চাননি। তখনই মাথা গরম করে পুলিসের সামনেই চিকিৎসককে সপাটে এক চড় মারেন মৃতার স্বামী। বচসা শুরু হয় দু’তরফে। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। পরিবার অভিযোগ করে, ঘুমের ওষুধের অতিরিক্ত ডোজের জন্যই মৃত্যু হয়েছে পিঙ্কি ভট্টাচার্যর। বাড়ির তরফে হাসপাতালের বিরূদ্ধে এফআইআর করা হয় একবালপুর থানায়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে পাল্টা দাবি করে হৃদরোাগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতির। রোগীর পরিবারের লোকের চিকিৎসকের ওপরও হামলা চালান বলে অভিযোগ।