ফেসবুকে বান্ধবীর নামে একাধিক ভুয়া প্রোফাইল খুলে অশ্লীল ছবি মোটা টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধ ৷ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর আজ বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য নগর দায়রা বিচারক ই লেপচা ওই যুবকের ২ বছরের জেল ও ২৬ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন ৷ এক অফিসে কাজের সূত্রে যুবকের সঙ্গে আলাপ তরুণীর ৷ তারপর গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব ৷ সেখান থেকে তৈরি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ৷ দেখা করা, ফোনে কথা বলা থেকে বাড়তে থাকে সখ্যতা ৷ মাঝে মাঝে চলত ভিডিয়ো চ্যাটও ৷ সেসময়ই বিভিন্ন ভঙ্গিমায় অরুণার ছবি চাইত সুমিত ৷ অরুণাও সুমিতকে বিশ্বাস করে ছবি দিতে থাকে ৷ এভাবেই চলছিল সবকিছু ৷ ২০১৮ সালের শুরুতে নিজের বাড়িতে যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয় তরুণীর ৷ তার পরিবারও রাজি হয়ে যায় বিয়েতে ৷ কিন্তু, তা জানার পর থেকেই খারাপ ব্যবহার শুরু করে যুবক ৷ চলতে থাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল ৷ সবকিছু থেকে দূরে থাকতে ওই অফিসে চাকরি ছেড়ে নতুন একটি কম্পানিতে কাজ শুরু করে তরুণীর ৷ কিন্তু, তাতেও রেহাই মেলেনি ৷ তরুণীর নামে ফেসবুকে একাধিক ফেক অ্যাকাউন্ট খোলে সেই যুবক ৷ সেখান থেকে তরুণীর বিভিন্ন আপত্তিকর নগ্ন বিক্রি করতে শুরু করে ৷ আপত্তি জানালে জোটে হুমকি ৷ বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিধাননগর সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে অরুণা ৷ তার ভিত্তিতে ২০ এপ্রিল যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানালেও বিচারপতি শিবপ্রসাদ তা খারিজ করে দেন ৷ মামলার অন্তিম শুনানিতে বিধাননগর সাইবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্ত করতে নেমে পুলিশ দেখেছে সমস্ত অভিযোগই সত্যি৷ পুলিশ ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো বিষয়টি যাচাই করে ৷ তারপরই ২০ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখে, আরও তিনটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তরুণীর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো আপলোড করেছিল সেই যুবক৷ সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হত ৷ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে অতিরিক্ত মুখ্য নগর দায়রা বিচারক আজ অভিযুক্তের ২বছরের জেল ও ২৬ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন ৷
প্রতীকী ছবি।