দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের মঞ্চে বিশিষ্টরা এসে ভাষা নিয়ে যেসব বক্তব্য রাখলেন, এই চর্চা দু’ঘণ্টার মধ্যে হয় না। আমার তো মনে হয়, আগামী দিনে সারারাত জুড়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয় চিন্তা ভাবনা করব। ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ওখানে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দেয়।’ মমতা এদিন বলেন, ‘মানুষ একা চলতে পারে না। যে ভাষা মাটির ভাষা, সকলের বলতে পারার ভাষা, গ্রামের ভাষা, পথের ভাষা সেটাই আসল ভাষা। বাংলা ভাষা খুব মিষ্টি। বুদ্ধি ও মেধার ভাষা। হিন্দি ভাষাও আমি বলতে পারি। মাতৃভূমি, কন্যাভূমি, কৃষিভূমির কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে। মাকে ছিন্নভিন্ন করে কিছু হয় না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ অনুষ্ঠানে এদিন সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, নচিকেতা, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, বিবেক কুমার। সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী, শ্রীজাত কবিতা পড়েন। যোগেন চৌধুরি নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। ইন্দ্রনীল মমতার লেখা ২টি গান পরিবেশন করেন। ইন্দ্রনীলের কণ্ঠে গান শুনে দর্শকরা অভিনন্দন জানান। বক্তব্য পেশ করেন শুভাপ্রসন্ন, তনুশ্রী শঙ্কর, যোগেন্দ্র যাদব, আবুল বাশার, অলকানন্দা রায়। তনুশ্রী শঙ্কর বলেন, ‘আমার বেশ মনে আছে আনন্দশঙ্করজি যেদিন মারা যান সেইদিন আমার পাশে সারা দিন মমতাদি ছিলেন। আমি মমতাদিকে কোনও দিন ভুলতে পারব না।’ অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫টা নাগাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশপ্রিয় পার্কে এসে অতিথিদের নিয়ে যান শহিদ স্মারকের কাছে। সকলেই পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন সুব্রত মুখার্জি, শোভনদেব চ্যাটার্জি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অন্যদের মধ্যে ছিলেন শিবাজি চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু রায়চৌধুরি, দীনেশ ত্রিবেদী, মালা রায়, দেবাশিস কুমার, নির্মল মাজি, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। দেশপ্রিয় পার্কে এদিনের অনুষ্ঠানে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রিনি বিশ্বাস।