ইন্দ্রনীল সেন, নয়াদিল্লিঃ শেষ মুহূর্তে ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি। গত ৫ বছরে খতিয়ান ধরেই এ বারের ইস্তাহারের তৈরি করা হয়েছে, ‘কাম করনেওয়ালি সরকার’। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির থেকে এই ইস্তাহারকে ‘সংকল্প পত্র’বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির স্লোগান ক্যাম্পেন প্রকাশের সময় অরুণ জেটলি বলেন, প্রচারের প্রথম ভাবনা থাকবে ‘কাম করনেওয়ালি সরকার’। দুর্নীতিগ্রস্ত পর্ব কাটিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সততার সঙ্গে সরকার চালানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ‘ইমানদার সরকার’ হবে দ্বিতীয় ভাবনা। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মোদী সরকারের পদক্ষেপ করা নিয়ে ‘বড়ে ফয়সলে লেনে ওয়ালি সরকার’-ও গেরুয়া শিবিরের প্রচার।
একনজরে বিজেপির ইস্তাহারঃ-
১) জাতীয়তাবাদে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজেপি।
২) জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি কোনও সমঝোতা করবে না। সামরিক শক্তি বাড়াতে উন্নতমানের সমরাস্ত্র যোগ অব্যাহত থাকবে।
৩) সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স বজায় রাখবে বিজেপি।
৪) সীমান্তপারে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে সকল ব্যবস্থা করবে বিজেপি।
৫) নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করবে বিজেপিশাসিত সরকার। তবে বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি ও অস্তিত্বে আঁচ পড়তে দেবে না।
৬) বিজেপির আমলে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।
৭) ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা হবে। কিষাণ সমৃদ্ধি নিধি প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষককে বছরে ৬,০০০ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে।
৮) কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণে এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সুদ শূন্য শতাংশ।
৯) গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে বিজেপিশাসিত সরকার।
১০) ৬০ বছর হলে পেনসন পাবেন ছোট ও প্রান্তিক চাষিরা।
১১) ৬০ বছর হলে পেনসন পাবেন ছোট দোকানদাররা।
১২) অবকাঠামো খাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ১০০ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিজেপি।