জেলা

বাংলা থেকে একজনকেও তাড়াতে দেব নাঃ মুখ্যমন্ত্রী

আজ কালিয়াগঞ্জেও সিএএ ও এনআরসি নিয়ে মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘বাংলা থেকে একজনকেও তাড়াতে দেব না। উদ্বাস্তুদের কাছ থেকে নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না। দিল্লিতে যা হয় তা বাংলায় হতে দেব না।’‌ কাউকে ভয় না পেতে পরামর্শ দিয়ে মমতা ফের সতর্ক করলেন অযথা কেউ কোনও কাগজপত্র দেখতে চাইলে যেন হঠাৎ করে কেউ তা না দেখান। এদিন তিনি রায়গঞ্জের বারসই-বারোদুয়ারিঘাট পর্যন্ত রাস্তার জন্য সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন। ‘‌স্নেহালয়’‌ নামে নতুন প্রকল্প চালু করে মানুষদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দিলেন। এই প্রকল্পেই আরও ১,২০০০০ বাড়ি তৈরির ঘোষণা করলেন। মমতার ঘোষণা, কালিয়াগঞ্জে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরে  কর্মতীর্থ হচ্ছে। আরও বললেন, ‘‌জয় বাংলা’‌ প্রকল্পে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন মানুষজন। তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং আদিবাসীরাও এই পেনশনের সুবিধা পাবেন। ‘‌কর্মসাথী প্রকল্পে’‌ এক লক্ষ ছেলেমেয়ে কর্মসংস্থান শুরু করার জন্য প্রত্যেককে দু’‌লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া গাড়িচালক, খেত এবং দিন মজুর, নাপিত, ধোপা, ডেকোরেটর্স, আশা এবং আইসিডিএস কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা এখন রাজ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায় বলে জানিয়ে দিলেন। ৬০ বছর বয়স হলেই এই প্রকল্পের আওতায় মানুষরা দু’‌লক্ষ টাকা করে পাবেন সেকথা ফের জানিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে মমতার তোপ, শুধু এখন নয়, আগেও কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। কিন্তু আমজনতা তাদের কাছে কিছুই পায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়াই চাষের কাজে সবাইকে ৫০০০ টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য। কৃষকদের স্বার্থে চালু আছে শস্য বিমা। এবং ১৮-৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষক মারা এলে তাঁর পরিবারকেও অর্থ সাহায্যের প্রকল্প রয়েছে রাজ্যের নিজস্ব। ‌