নয়াদিল্লি: করোনা মুক্ত এলাকায় লকডাউন তুলে স্বাভাবিকতায় ফেরার রূপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সতর্কতা বজায় রেখেও কীভাবে অর্থনীতির চাকা ঘোরানো সম্ভব সেই বিষয়ে বিশদ আলোচনা হবে। ওই আলোচনার অভিমুখ হবে হটস্পটগুলিকে সিল করে রেখেই অন্যত্র লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খোঁজা। মূলত চারটি বিষয় নিয়ে হতে পারে এই আলোচনা।
১) লকডাউনের সময়সীমা পুনরায় গোটা দেশজুড়েই না বাড়িয়ে কীভাবে সতর্কতা বজায় রেখে রাজ্যগুলির কিছু কিছু অংশকে স্বাভাবিক জীবন, জীবিকায় ফিরিয়ে আনা যায়।
২) কেন্দ্র রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজ দেবে কিনা।
৩) আটকে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
৪) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যানবাহন কীভাবে চালু করা সম্ভব। কারণ সাধারণ যানবাহন চালু না হলে অফিস, বাণিজ্য খুলে লাভ নেই। আর এটাই সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত।
কারণ, ভারতের জনপরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ৭১৮টি জেলার মধ্যে ২৮৯টি এমন জেলা রয়েছে যেগুলি সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত। পাশাপাশি মণিপুর, ত্রিপুরা, অরুণাচল নিজেদের করোনা মুক্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রকে লিখিত রিপোর্ট দিয়েছে। তাই করোনামুক্ত জেলা ও গ্রিন জোনকে পৃথক করে সেখানে লকডাউন তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। রাজ্যগুলি কেন্দ্রকে জানাবে, কোন কোন জেলা, মহকুমা, ব্লক করোনা মুক্ত। সেইমতোই ওইসব এলাকাকে লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী আজ রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে ৩০ এপ্রিলের পর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।