দেশ

আক্রান্তের বিচারে শীর্ষ স্থানে সেই মহারাষ্ট্রই এবং দ্বিতীয় গুজরাত

নয়াদিল্লিঃ ভারতে আক্রান্তের বিচারে শীর্ষ স্থানে সেই মহারাষ্ট্রই। এ রাজ্যে ১৫ হাজার ৫২৫ জন মানুষ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৬১৭ জনের। মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুম্বই (আক্রান্ত ৯,৯৪৫, মৃত ৩৮৭ জন), পুনে (আক্রান্ত ২,০৬২, মৃত ১১৯ জন), থানে (আক্রান্ত ১,৪০৪, মৃত ২১ জন)। মহারাষ্ট্রের পর সর্বাধিক আক্রান্ত গুজরাত। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৪৫ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১,৩৮১ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। এ রাজ্যের আহমেদাবাদ (আক্রান্ত ৪,৪২৫, মৃত ৭০৪ জন), সুরাত (আক্রান্ত ৭২৩, মৃত ২৮২) এবং ভদোদরায় (আক্রান্ত ৪০৫, মৃত ৩০)। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের পর রয়েছে রাজধানী দিল্লি। নয়াদিল্লিতে এ পর্যন্ত মোট আাক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১০৪ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৪৬৮ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এখানকার সেন্ট্রাল দিল্লি (আক্রান্ত ১৮৪), দক্ষিণ পূর্ব দিল্লি (আক্রান্ত ১৩০), পশ্চিম দিল্লি (আক্রান্ত ১২২) এবং কোনও এক অজানা এলাকায় (আক্রান্ত ৪ হাজার ৩১৬, মৃত ৬৪) আক্রান্ত হয়েছেন বেশি। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ০৫৮ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৪৮৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন রোগীর। এই রাজ্যের চেন্নাই (আক্রান্ত ২,০০৭ ও মৃত ২০), কুদ্দালোরে (আক্রান্ত ২২৯), ভিল্লুপুরম (আক্রান্ত ১৬৪, মৃত ২), ও কোয়েম্বাটুরে (আক্রান্ত ১৪৬ এবং মৃত ১) আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর তালিকায় রয়েছে রাজস্থান। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ১৫৮ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১হাজার ৫২৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। এ রাজ্যের জয়পুর (আক্রান্ত ১,০৪৭, মৃত ৫০), যোধপুর (আক্রান্ত ৭৬২, মৃত ১৩) ও কোটায় (আক্রান্ত ২২১, মৃত ১০) আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ০৪৯। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের। এ রাজ্যের ইন্দোর (আক্রান্ত ১,৬৫৪, মৃত ৭৯), ভোপাল (আক্রান্ত ৫৭১, মৃত ১৬) এবং উজ্জ্বয়িনে (আক্রান্ত ১৮৪, মৃত ৪০)। এরপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশে মোট ২ হাজার ৮৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯৮৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জন রোগীর। এ রাজ্যের আগ্রায় (আক্রান্ত ৬৪০, মৃত ১৬), কানপুর নগরে (আক্রান্ত ২৭৬, মৃত ৫) এবং লক্ষ্ণৌয়ে (আক্রান্ত ২৩১, মৃত ১ জন)। উত্তরপ্রদেশের পর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে মোট আক্রান্ত এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭১৭। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৫৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জন রোগীর। এই রাজ্যের কুর্ণুলে (আক্রান্ত ৫১৬, মৃত ১০), গুণ্টুরে (আক্রান্ত ৩৫১, মৃত ৮ জন) এবং কৃষ্ণতে (আক্রান্ত ২৮৬ , মৃত ৯) জন আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। পাঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। এ পর্যন্ত মোট ১৩৩ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এ রাজ্যের অমৃতসর (আক্রান্ত ২১৮, মৃত ৩), জলন্ধর (আক্রান্ত ১৩৪, মৃত ৪) এবং লুধিয়ানায় (আক্রান্ত ১২৪, মৃত ৫) সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫৮৫ জন রোগী। এ রাজ্যের হায়দরাবাদেই (আক্রান্ত ৫৯১, মৃত ২১) সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।