হক জাফর ইমাম, মালদা: মালদা জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণে সংখ্যা। এরমধ্যে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে এই সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে দশে। আতঙ্কে রয়েছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাবাসী। রাজস্থান থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের দল হরিশ্চন্দ্রপুর ঢুকতেই একের পর এক করোনা সংক্রমনের খবর আসতে শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। এরইমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় আজ হরিয়ানা ও দিল্লির নাম্বার প্লেটের দুটি অটো, ৪ টি উবের গাড়ি লক্ষ্য করা যায়। এই গাড়ি গুলিতে ২০ থেকে ২৫ জন বাইরে শ্রমিক যাদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে তারা প্রবেশ করতে শুরু করে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কি ভাবে বিনা অনুমতিতে এরা ভিন রাজ্যের বর্ডার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করলো। এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় চারটি উবের এর গাড়ি লক্ষ্য করা যায় যার নম্বর প্লেট দিল্লির অন্য দিকে দুটি অটো দেখা যায় যার নম্বর প্লেট দিল্লি এলাকা। এলাকা চেকিংয়ে ধুলো দিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এ প্রবেশ করলো তা নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দিল্লি থেকে আসা এক অটোচালক আলমগীর হোসেন জানালেন আমার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাতেই আমি দিল্লিতে অটো ড্রাইভার এর কাজ করতাম। লকডাউন এরপর থেকেই আমার হাতে কোনো টাকা পয়সা ছিল না। তাই ওই এলাকা থেকে অটো চালিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে ফিরে। বিভিন্ন চেক পোষ্টে আমাকে আটকানো হয়েছিল। প্রাথমিক পরীক্ষা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই বক্তব্য শোনা গেল আরেক অটো ড্রাইভার মনোয়ার হোসেন এর গলায় তিনি জানালেন আমি বিভিন্ন চেকিংয়ে স্থানীয় অফিসারদের হাতে-পায়ে ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর এ পৌঁছেছি। দিল্লিতে অটো চালিয়ে রোজগার করতাম। লকডাউন এর জেরে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে কোন কাজ নেই। তাই কোন রকম ভাবে ভিন রাজ্যের বর্ডার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চলে এসেছি। এদিকে একের পর এক বাইরের শ্রমিক হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় প্রবেশ করতে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সুপ্রতিম সুকুল জানালেন এরা যারা বাইরে থেকে আসছে এদের কোন টেস্ট হচ্ছে না এরা সরাসরি এসে বাড়িতে প্রবেশ করছে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। আমাদের আবেদন এদের অন্তত ১৪ দিন বাইরে কোন জায়গায় গৃহবন্দী রাখা হোক। না তো সংক্রমণকে ঠেকানো যাবে না।আরেক বাসিন্দা তপন দাস জানালেন আমরা দেখছি বাইরে থেকে পরিযায়ী শ্রমিক আসার ফলেই হরিশ্চন্দ্রপুর এ কলনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এই মুহূর্তে প্রশাসনের উচিত অত্যন্ত কড়া হাতে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের আশার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। এবং অবশ্যই আগে যেভাবে স্কুলে স্কুলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছিল সেই ভাবে চালু করা।নয়তো গ্রামের সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান এরা প্রত্যেকেই পারমিশন নিয়ে এসেছে|কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর বাসীর মনের প্রশ্ন এদের কি সঠিকভাবে টেস্ট করা হয়েছে।এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।