দেশ

‘দেশবাসীর জন্য কালো দিন’, কেন্দ্রের কড়া সমালোচনায় আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন

এবার কেন্দ্র সরকারের বেসরকারীকরণ নীতির তীব্র সমালোচনা করলো বিজেপির আইডোলোজিক‍্যাল মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ(আরএসএস) অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জাতির কাছে কালো দিন বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় মজদুর সংঘ(বিএমএস)। গতকালই ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প‍্যাকেজের ব‍্যাখ‍্যা করার সময় কয়লাখনি, প্রতিরক্ষার মতো দেশের আটটি প্রধান ক্ষেত্র বেসরকারীকরণ করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ‍্যায় জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কর্তৃক আর্থিক প‍্যাকেজের বিস্তারিত বর্ণনার প্রথম তিনদিনের ঘোষণা কিছুটা আশাব‍্যাঞ্জক হলেও, চতুর্থ দিনের ঘোষণা দেশ ও দেশের জনগণের কাছে কালো দিন।” করোনা মহামারী মধ্যে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য আটটি মূল সরকারি খাতে বড়সড় পরিবর্তন ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে কয়লা শিল্প, খনি শিল্প, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র, এয়ারস্পেস ম‍্যানেজমেন্ট, বিমানবন্দর, বিদ‍্যুৎ, মহাকাশ ও পারমাণবিক শক্তি গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে।এই প্রসঙ্গে বিএমএসের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, সামাজিক প্রতিনিধি ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে সরকার। সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অভাব স্পষ্ট, যা অত‍্যন্ত নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় ইউনিয়নগুলো অনেকদিন থেকেই সরকারি সেক্টরে বেসরকারীকরণের প্রতিবাদ করে আসছে। আমাদের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন কাঠামোগত সংস্কার ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে হলে বেসরকারীকরণ সবথেকে ভালো উপায়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে, এই সংকটের সময় বেসরকারি বাজার যখন প্রায় ধ্বংসের মুখে, তখন সরকারি সেক্টরগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যে কোনো পরিবর্তনের প্রথম প্রভাব পড়ে সংস্থার কর্মচারীদের ওপর। বেসরকারীকরণের অর্থ হলো প্রচুর পরিমাণে চাকরি ছাঁটাই, কর্মীদের অতিরিক্ত শোষণ করে লাভ আদায় করা। কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই সরকার এই পরিবর্তন করছে, যা মারাত্মক ভুল। গণতান্ত্রিক দেশে সামাজিক আলোচনা মৌলিক অধিকার।”