চিকিৎসারা সাফ জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন ছাড়া কোনও বিকল্প পথ নেই করোনা মোকাবিলার। এই পরিস্থিতিতেই নতুন করে আশার আলো জ্বালাচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। একদিকে রোগীর শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, অন্য দিকে করোনা রোগীকে সারিয়ে তোলা, সাফল্যের খবর আসছে বারবার। গত ১৩ মে থেকে করোনার হাল্কা উপসর্গ নিয়ে ভোপালের সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তিন জন রোগীকে ভর্তি করা হয়৷ দশদিনে ছুটি পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কী ভাবে কাজ করছে এই হোমিওপ্যাথির দাওয়াই? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের চিকিৎসক জহর শাহ বিশ্বের ১০০ জন চিকিৎসকের সঙ্গে সাথে কথা বলে একটি বিশেষ পথ্য তৈরি করেছেন। এই পথ্য মানবশরীরে অনেক অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়।এখনও পর্যন্ত মোট ২২০০০ পুলিশ কর্মী ৪০০০ দমকল কর্মী, ধারাবি বস্তির বহু মানুষকে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, সাইক্রো নিউরোএন্ডোক্রিনে এই ওষুধ কার্যকর হয়। আয়ূষমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। এই ওষুধের তালিকায় রয়েছে মূলত দুটি ওষুধের নাম। যথা, Arsenic Album ও Camphora-1M । করোনার প্রকোপের সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে এই ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন এই ওষুধের সবচেয়ে ভাল দিক হল এটি মাসে একবার ব্যবহার করতে হয়। ২টি ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হয় তিনদিন তিন বেলা। এছাড়া আরও কয়েকজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের দাবি, করোনা মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরিনের বদলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, Bryonia Alba 200, Arsenic Album 200, Kali Carb 200 এবং Pulsatilla 30। এই চারটি ওষুধ প্রয়োগ সুস্থ করা গিয়েছে ৩ জন রোগীকে।