আজ থেকে খুলল দমদম বিমানবন্দর। ২ মাস পর দমদম বিমানবন্দর থেকে উড়ল প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। এদিন দিল্লি থেকে একটি বিমান কলকাতায় আসে। আজ এখান থেকে মোট ১০টি বিমান উড়বে এবং সম সংখ্যক বিমান নামবে। তৈরি করা হয়েছে ৪০০ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিষেবা নিতে পারবেন যাত্রীরা। কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দফায় দফায় আলোচনার পর কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে নেওয়া হয়েছে সমস্ত ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিধি মেনে শুরু হয় বিমান পরিষেবা। দূরত্ব বজায় রেখে লাইন দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন যাত্রীরা। সংক্রমণ এড়াতে বোর্ডিং পাস নেওয়া এবং টিকিট চেকিংয়ের ক্ষেত্রে যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। বিমানবন্দরে ঢোকার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। থার্মাল গান দিয়ে মাপা হয় তাপমাত্রা। সামান্য উপসর্গ থাকা যাত্রীদেরও বিমানে চড়তে দেওয়া হবে না। এছাড়াও যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকাও বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখালেন বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীরা। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বাংলাদেশ থেকে১৫৯ জন যাত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। তাঁদের জানানো হয়, হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তা দিনপ্রতি এক হাজার টাকায়। যা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। শুরু করেন বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশ বিমানবন্দরে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে। সেখানকার একটি সংস্থা এটি করেছে। তাঁরা হোম আইসোলেশন বা সরকারি আইসোলেশনে যেতে চান। হোটেলে নয়। বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে তাঁরা বাসস্ট্যান্ডে চলে আসেন। সেখানে তাঁদের জন্য কোনও বাসের ব্যবস্থা ছিল না বলেই তাঁদের দাবি। পুলিস ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের সামলাতে নাজেহাল হয়। পরে অবশ্য তাঁদের সরকারি আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
[13:24, 28/05/2020] .: