হক জাফর ইমাম, মালদা: ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার খুনের কিনারা করল মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত ছাত্রীর মোবাইলের সূত্র ধরে মালদা জেলার চাঁচল -২ ব্লকের ধানগাড়া এলাকা থেকে শাহাবুল হক ও শামীম আক্তার নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দেগুন এলাকার ধানের জমিতে গর্ত করার সময় একটি হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন চাষিরা। শনাক্ত করার পর জানা যায় মৃত দেহটি দশম শ্রেণির ছাত্রী মেহেরুন খাতুনের। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ থেঁতলে খুন করার পরে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। মৃত দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মেহেরুনের মোবাইলের সূত্র ধরে দুই যুবকের খোঁজ পায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই যুবক পুলিশকে জানায়, প্রেমঘটিত ব্যাপারেই মেয়েটিকে পিছু ছাড়ানোর জন্যই শাহাবুল ও তার পিসতুতো দাদা শামীম আখতার দুজনে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে মেহেরুন খাতুনকে মাটিতে পুঁতে ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিন মাস আগে পরিচয় হয় শাহাবুল ও মেহেরুনের। সেই পরিচয় আস্তে আস্তে প্রণয়ের রূপ নেয় ।একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ শুরু করে শাহাবুল ও মেহেরুন। কিন্তু তাদের প্রণয় পরিণয়ে রূপ নেওয়ায় আগেই অকালে ঝরে যেতে হলো দশম শ্রেণীর ছাত্রী মেহেরুনকে।মৃত দশম শ্রেণীর ছাত্রী মেহেরুন খাতুনের বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রাঙাইপুর গ্রামে। বুধবার তার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে দেগুন এলাকায়। চাঁচল মহকুমা এসডিপিও সজল কান্তি বিশ্বাস, ধৃত দুই যুবককে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। সাত দিনের রিমান্ড এ নেওয়া হবে।