লকডাউনের পর পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের জেলায় তথা গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০ জুন গরিব কল্যাণ অভিযান যোজনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করবেন। বিহারের খাগাড়িয়া জেলা থেকে তা শুরু হবে। তার আগে এদিন প্রকল্পের রূপরেখা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।বিহারে এ বছরের শেষেই বিধানসভা ভোট। সেদিকে নজর রেখে বিহারের খাগারিয়া জেলার তেলিহার গ্রাম থেকেই শুরু হচ্ছে প্রকল্প। সীতারামনের কথায়, সবথেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান। এই ছ’টি রাজ্যের ১১৬টি জেলার শ্রমিকদের কার কোন কাজে দক্ষতা রয়েছে, সেই নিয়ে একটি হিসেবনিকেশ করছে কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার। প্রকল্পের জন্য় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ১১৬টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিহারের ৩২টি জেলা রয়েছে। তবে নেই বাংলা। এই প্রশ্ন করতেই কোনও সদুত্তর না দিতে পেরে সচিবকে প্রশ্নটি ‘পাস’ করেন অর্থমন্ত্রী। এই প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে সচিবকে ‘পাস’ অর্থমন্ত্রীর। এই বিষয়ে গ্রামীণ কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব বলেন, যে এই জেলা চিহ্নিত করার কাজ যখন চলছিল তখনও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফিরে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের হিসাব দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তা দেওয়া হলে সেভাবে চিহ্নিত করে বাংলার গ্রামকেও প্রকল্পের অন্তর্গত করা হবে বলে জানানো হয়।