এখন বাজারে গেলেই দেখা যাবে নানা কম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে ৷ কিন্তু সেগুলোর উপকরণ না দেখেই কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে মানুষ ৷ এতে এক বিপদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে আপনি আরও এক বিপদ ডেকে আনছেন না তো ? এই বিষয়ে সাবধান করছেন দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংরিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাগারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াশ তৈরি করেছেন । করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মুখে মাস্ক পরতে হবে ৷ এছাড়া বারবারহাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য হ্যান্ডওয়াশ, সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ৷ এখন লাল-নীল-সবুজ বিভিন্ন বর্ণ ও গন্ধের এই হ্যান্ডস্যানিটাইজার বেশ কম দামেই বিকোচ্ছে বাজারে। কিন্তু সেগুলো কি আদৌও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে তৈরি হয়েছে ? সাধারণ মানুষের তা জানার কথা নয় ৷ বাজারের এইসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে অনেক অভিযোগও শোনা গেছে ৷ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির মূল উপকরণ অ্যালকোহল ৷ সেটি কতটা পরিমাণে থাকা উচিত তা না জেনেই অনেকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরি করেছেন ৷ দাবি দুর্গাপুরের CMERI-এর বিজ্ঞানীদের । এই সংস্থার ডিরেক্টর হরিশ হিরানিজানিয়েছেন, চিনে অতিরিক্ত মিথাইল মেশানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিল মানুষ। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে দুর্গাপুরের CMERI-র গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ওহ্যান্ড ওয়াশ ৷ মূলত দুই ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি হয়েছে এই গবেষণাগারে ৷ একটি জেল ও অন্যটি লিকুইড ৷