আজ, ৫ অগাস্ট সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকারের। আবেদন জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বিজেপি-র। ফলে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিজেপির। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রামমন্দিরের ভূমি পুজোর দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের হুঁশিয়ারি ছিল, লকডাউন প্রত্যাহার না হলে তা ভেঙেই ভূমিপুজো উদযাপন হবে বাংলায়। বুধবার সেই মতো দেখা গেল জেলায় জেলায় ভূমিপুজোকে কর্মসূচি হিসেবে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল বিজেপি। কোথাও কোথাও পুলিশি ধড়পাকড়ের ঘটনাও ঘটল।এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং-সহ জীবনতলার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয় হোম-যজ্ঞ, পুজো-অর্চনা। সাধারণ মানুষের মধ্যে লাড্ডু বিলিও করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। এছাড়াও বাটানগর, মথুরাপুর, বিষ্ণুপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে রাস্তায় নামে গেরুয়া শিবির। জলপাইগুড়িতে রাস্তায় বিজেপির ভূমি পুজো বন্ধ করে দেয় পুলিশ। জলপাইগুড়ির কংগ্রেস পাড়া এলাকার মাঠে প্যান্ডেল করে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ও তাদের মিডিয়া সেলের সদস্যরা মিলে রামের ছবি টাঙিয়ে ঘটা করে পুজোর আয়োজন করেছিলেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় ওই এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় পুজো।একই ছবি দেখা গিয়েছে বাঁকুড়া, হুগলি, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতেও। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর বাজারে বাইক মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। এছাড়াও হুগলির শ্রীরামপুর, আরামবাগ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মতো জায়গায় জাঁকজমক করে রামমন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপিত হয় এদিন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও বসিরহাট থেকে ব্যারাকপুর প্রায় সর্বত্র ভূমিপুজো করে বিজেপি। ভাটপাড়ায় যজ্ঞ করেন সাংসদ অর্জুন সিং।