করোনা ভাইরাস রুখতে এবার আসছে বিশেষ ধরনের জেল। বাইরে বেরনোর আগে বিশেষ উপায়ে তৈরি ওই জেল নাকে লাগাতে হবে। করোনা জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করার কাজে তা সাহায্য করবে। ফলে কমবে গোষ্ঠী সংক্রমণের ঝুঁকিও। সরকারি সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই যাতে এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ঘটানো যায়, সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছে মন্ত্রক।করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিশেষ ‘ন্যাজাল জেল’ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক। এর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলার লক্ষ্যে পোর্টেবেল স্ক্যানার ও স্যানিটাইজেশন চেম্বারের বাণিজ্যিক ব্যবহার বৃদ্ধিরও সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, এই পুরো কাজটি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের আওতায় থাকা টেকনোলজি ইনফর্মেশন, ফোরকাস্টিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট কাউন্সিলের (টিআইএফএসি) মাধ্যমে। ওই কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড (এসইআরবি) এবং আইআইটি বোম্বের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োসায়েন্সেস অ্যান্ড বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ডিবিবি) যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ ন্যাজাল জেল তৈরির কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তৈরির পর কীভাবে কাজ করবে নাকের এই বিশেষ জেল? মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশের একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল নাক। এই ন্যাজাল জেল কার্যত স্যানিটাইজারের মতো কাজ করবে। নাকে এই জেল ব্যবহার করলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকাংশেই প্রতিহত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে কোভিড মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই ন্যাজাল জেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করছেন মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। সরকারি সূত্রের খবর, উপসর্গহীন মানুষদের থেকেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সবথেকে বেশি। ন্যাজাল জেল তৈরির কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে নাক দিয়ে করোনা ছড়ানোর প্রবণতা অনেকাংশেই কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে।