ওড়িশাঃ ঘূর্ণিঝড় ফেনির তাণ্ডবে তছনছ ওড়িশার ৪ জেলা ৷ সকাল ৮টা থেকে একটানা তাণ্ডব ওড়িশায় ৷ কেন্দপাড়া, পুরী, জগৎসিংপুর, খুরদায় ক্ষতি ৷ ওড়িশার ১১ জেলা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৷ এখনও পর্যন্ত ফণী ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের এদিন ওড়িশায় দুই ব্যক্তির গাছ পড়ে মৃত্যু খবর আসে। এদিন মৃত্যুর খবরটি আসে পুরীর সাক্ষীগোপাল এলাকা থেকে। অপর ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। সেখানে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে খবর। মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এছাড়া আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, তবে কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওড়িশায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগত্সিংপুর, কেন্দপাড়া, পুরী, সাক্ষীগোপাল, খুরদা এলাকা। সকাল থেকেই এদিন ওড়িশা দেখেছে ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন
হয়েগিয়েছে সড়ক যোগাযোগ। ওড়িশার একাধিক এলাকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিদ্যুত্হীন হয়ে পড়েছে ওড়িশার একাধিক এলাকা। গতরাত থেকেই বিদ্যুত্হীন ছিল পুরী। এদিন আলো ফুটতেই পুরীর সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা যায় । ওড়িশা জুড়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় সাইক্লোন মোকাবিলায় নেমে পড়েছে প্রশাসন। সেখানে জোরকদমে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরী থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পর্যটকদের। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর। বাতিল করা হয়েছে ১৭৪টি ট্রেন। পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খোরদা, কটক সহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ১১ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। শুকনো খাবার ও জলের পাউচের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।