চলতি মাসের শুরুতে সংগঠনের সব অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি। তাই ছাড়িয়ে দিতে হয়েছে। এই অভিযোগ জানিয়ে ভারতে সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সারা বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা, তা নজর রাখে এই বেসরকারি সংগঠন। সদর দপ্তর রয়েছে ব্রিটেনে। ভারতে কোনও সংস্থা যদি বিদেশি অনুদান নিতে চায় তবে বিদেশি অনুদান (নিয়ন্ত্রণ)আইনে নথিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক। নয়াদিল্লীর অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তা করেনি। আবার কোনও অলাভজনক সংস্থা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের চ্যানেলে বিদেশি অর্থ নিতে পারে না। অ্যামনেস্টি সেটাই করেছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মোদী সরকারের তরফে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্য, ‘ভারত সরকারের ক্রমাগত মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে অপদস্থ করার অপচেষ্টার এটা শেষ নিদর্শন। প্রমাণ হয়নি এমন অভিযোগ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতেই সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে।’ দেশের সমস্ত আইন কানুন মেনে তাঁরা কাজকর্ম করেন বলেও দাবি করেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের অভিযোগ, ‘মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে নিশানা করে বারবার আঘাত হেনেছে ভারত সরকার। তারই নবতম সংযোজন হল আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া। ভিত্তিহীন অভিযোগে ‘উইচ হান্টিং’ করা হচ্ছে।’ অ্যামনেস্টির দাবি, সরকারের সম্পর্কে সমালোচনা মূলক রিপোর্ট বের করার কারণেই সরকারি রোষের শিকার হতে হয়েছে তাদের। ভারতের সব কর্মীকেও বসিয়ে দিয়ে সমস্ত প্রচার ও গবেষণার কাজ বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।