জেলা

হাওড়ায় স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে তুমুল বিক্ষোভ যাত্রীদের

ফের স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে যাত্রীরা। স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে জিআরপি ও আরপিএফ এর সঙ্গে বচসা বাধে যাত্রীদের। পুলিশ তাদের উপর কয়েকদফায় লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে লোকাল ট্রেনের ওপর ভরসা করে যে সমস্ত মানুষ কাজে আসেন তারা পড়েছেন সমস্যায়। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর রুটি রুজির টানে বেরিয়ে পড়েছেন বাইরে। জোর করেই উঠে পড়ছেন স্পেশ্যাল ট্রেনে। যেখানে রেলের কর্মচারী ছাড়া কারওই ওঠার অনুমতি নেই। জোর করে স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠা নিয়ে যাত্রী বিক্ষোভ হচ্ছে বহু জায়গাতেই। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই স্পেশাল ট্রেনে ওঠা নিয়ে যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয়

হাওড়ায়। যাত্রীদের দাবি, স্পেশ্যাল ট্রেন যাত্রীদের জন্যও চালানো হোক। সব যানবাহন এমনকি মেট্রো রেল যখন চলছে তখন লোকাল ট্রেন কেন চলবে না এই প্রশ্নে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চ্যাটার্জি জানান, লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে কোনও নির্দেশ এখনও তাঁদের কাছে আসেনি। আর স্পেশ্যাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্য। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি নেই।” আরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার মহম্মদ আসলাম বলেন, ”দু’দিন ধরেই স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে জোরজবদস্তি করছেন যাত্রীরা। কিন্তু এই স্পেশাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলের লোকেদের জন্য। আজও স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনে উঠতে চেয়ে জড়ো হন তাঁরা। মেল ট্রেনের যাত্রীরা এর জেরে অসুবিধায় পড়ে যান। তাই আরপিএফ সরিয়ে দিয়েছে তাঁদের।”