জেলা

বিধানসভায় ২২০ থেকে ২৩০ আসন পাবে তৃণমূল, অমিত শাহকে পালটা হুঁশিয়ারি অনুব্রতের

“অমিত শাহ-র পাগলের মতো কথাবার্তা। উনি নিজে কিছু জানেন নাকি! একুশের নির্বাচনে তৃণমূল ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন পাবে। উনি বেড়াতে এসেছেন। দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন। পুজোর সময় অনেক জনই বেড়াতে যায়। দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসেছেন। আর বাংলা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর।”

বীরভূমঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার ২ দিনের বাংলা সফর শুরু করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘মমতা সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গেছে। বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বাংলায়।’ তবে এইসব দাবিকে পাগলের মত দাবি বলে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করলেন বিধানসভায় তৃণমূল ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন পাবে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বাংলার প্রতি বারংবার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। এর মধ্যে বোলপুরের মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই মিছিল থেকে এদিন তিনি দেশের জিডিপি, বেকারত্ব, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি, কৃষি আইন এবং গ্যাসের ভর্তুকির ক্ষেত্রে মূল্য কমিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। অন্যদিকে এদিন বাংলা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। কেন্দ্র সরকার যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাঠাচ্ছে সেগুলি আটকে দিচ্ছে মমতা সরকার। আর এই আদিবাসী প্রসঙ্গেই এদিন অনুব্রত মণ্ডল জানান, “বাজে কথা, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি শুধু বীরভূম জেলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার আদিবাসীর ভোট করতে না পারলে দল ছেড়ে দেবো।” এর পাশাপাশি তিনি এদিন অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেন, “পাগলের মতো কথাবার্তা। উনি নিজে কিছু জানেন নাকি! কিছুই জানেন না। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন পাবে। আগেও বলেছি, এখনো বলছি। গুজরাট থেকে এসে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি! বাংলার মানুষ বোকা? গুজরাটের মানুষকে মেনে নেবে? বাংলার কোন হাত পা নাই? বাংলা চলতে জানেন না? বাংলার মানুষরা হাঁটতে পারেন না যে গুজরাট থেকে লোক আনতে হবে।” অমিত শাহের বাংলা সফরকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বেড়াতে এসেছেন। দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন। পুজোর সময় অনেক জনই বেড়াতে যায়। উনি কালীঘাটে পুজো দিতে এসেছেন। দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসেছেন। মাকে ডাকতে এসেছেন, সফর করতে এসেছেন। আর বাংলা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর।”