কলকাতা

বঙ্গ নেতৃত্বে আর ভরসা নেই! পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে ৫টি জোনের রাশ টিম অমিত শাহের অবাঙালি নেতাদের হাতে

৩০ নভেম্বর ফের রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ

 এবার পুরোদমে ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল বিজেপি। আর টার্গেট পূরণে বঙ্গ বিজেপির উপর ভরসা নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই থাকছে রাশ। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর এবং সুনীল দেওধরের উপস্থিতিতে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যকে ৫টি সাংগঠনিক এলাকায় ভাগ করে প্রতিটি ভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। আর এই পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতার ঘেরাটোপেই আপাতত বন্দি হলেন দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর বাহিনী। কার্যত এই পঞ্চপান্ডবের নির্দেশের বাইরে আর এক পাও ফেলতে পারবেন না দিলীপ তথা বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর সব থেকে বড় কথা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলায় দলের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এবার থেকে ১ মাস অন্তর অন্তর এ রাজ্যে ঢুঁ মারতে পারেন অমিত শাহ। রাজ্যে ক্ষমতা দখলের মতো বাংলায়ও মমতা সরকারকে ভূপতিত করে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া কেন্দ্রের শাসকদল। 

এক নজরে দেখে নিন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ সাংগঠনিক জোনে রাজ্য নেতাদের উপরে পর্যবেক্ষক ও আহ্বায়করা কে কোন দায়িত্ব থাকবে –

🔴 হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর – এই জোনের দায়িত্বে ত্রিপুরায় জয়ের অন্যতম কারিগর অভিজ্ঞ সুনীল দেওধর।
🔴রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বে বিনোদ সনকর।
🔴কলকাতা জোনের দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম।
🔴নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে বিনোদ তাওরে।
🔴উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নেতা হরিশ দ্বিবেদী।