করোনার শুরুতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ শব্দবন্ধটি প্রচলন হয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখার জন্য সরকার থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলতেন, এই শব্দের পরিবর্তে ব্যবহার হোক শারীরিক দূরত্ব। করোনা পর্বের এতদিন পর মমতার দাবি মানল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এবার থেকে করোনা বিধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে শারীরিক দূরত্ব। সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং কথাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানাচ্ছিল সবমহল। অনেকেই এই কথার ভুল ব্যাখ্য়া করে করোনা রোগী এবং করোনা যোদ্ধাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা শুরু করে দিয়েছিলেন। এতে মানসিক অবসাদ বাড়ছিল। অতিমারী পরিস্থিতিতে সহাবস্থান-সহযোগিতার বদলে মুখ ফেরাচ্ছিল নাগরিক সমাজ। তার থেক ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং বা শারীরিক দূরত্ব কথাটি গ্রহণযোগ্য বেশি। করোনা রোগীর থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই আসল উদ্দেশ্য সচেতন করার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নয়। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শান্তনু সেন এই সংক্রান্ত বিষয়টি সংসদেও তোলেন। শেষপর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে নেয় কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এবার থেকে সোশ্যাল নয়, ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং কথা ব্যবহৃত হবে। শান্তনুবাবুর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা ব্যবহার করেন। এখন থেকে গোটা দেশ তাই বলবে। সেফ হোম থেকে শুরু করে করোনা সংক্রান্ত সচেতনামূলক প্রত্যেকটি বিষয়ে রাজ্য সরকার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে।