শনিবার তৃণমূলের সঙ্গে ২১ বছরের দাম্পত্য শেষ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরে অমিত শাহের হাত থেকে পদ্মপতাকা হাতে নিয়েই ৬ বছর পুরনো বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই বিজেপিরই বঙ্গ নেতৃত্ব ৪ বছর আগে নারদা কেলেঙ্কারিতে তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিও দেখিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ণ ফেলে দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থনাথ সিং থেকে রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষরা সেদিন দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিও বদলায়। সেদিনের নারদা কাণ্ডের ভিলেন এখন গেরুয়া শিবিরের ঘর আলো করে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এতদিন সেই ভিডিও দিব্যি শোভা পাচ্ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। তৃণমূলও শনিবার পর্যন্ত সেই ভিডিওর স্ক্রিনশট নিয়ে বিজেপির দুর্নীতিবিরোধী আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। রবিবার তুমুল বিতর্কের মধ্যে চুপিসাড়ে সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছে বিজেপি। এখন তাদের ইউটিউব চ্যানেলে সেই ভিডিওটি পাওয়া যাচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে, ভিডিওটি ডিলিট করা হয়েছে। এই কারণে শুভেন্দুও অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন। তবে তাঁর এবং দলের অস্বস্তি দূর করতে সেই ভিডিও মুছে দিয়েছে বিজেপি।কিন্তু ভিডিও ডিলিট করলেও মামলা তো বিচারাধীন! তার কী হবে? রাজনৈতিক মহলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, বিজেপিতে গেলেই পাপ ধুয়ে সাফ। মুকুল রায় থেকে শুরু করে শঙ্কুদেব পণ্ডা, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের নারদার স্টিং ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল টাকা নিতে। তাঁরাই এখন বিজেপির বড় পদে আসীন। তাহলে তাঁরা কি নির্দোষ হয়ে গেলেন? সিবিআই তদন্তের গতিও স্লথ করে দিয়েছে। শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও কি একই অবস্থান নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? বিজেপিতে যোগ দিলেই অপরাধ ধুয়ে যাবে নাকি। কিন্তু ভিডিও ডিলিট অন্য ইঙ্গিত করছে!