সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় জায়গা সঙ্গীত
বুধবার উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে বাংলা সঙ্গীতমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে সারা বাংলায় ৬৩০টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এর ফলে এই পরিস্থিতি শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।’ আর এরপরেই সঙ্গীত মেলার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নাম না করেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘পৃথিবীর সবথেকে বড় সম্প্রতি সঙ্গীত,সঙ্গীতের মঞ্চকে বিভাজন নয়’ সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা সঙ্গীত মেলার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ পৃথিবীর সবথেকে বড় সম্প্রীতির জায়গা সঙ্গীত। সঙ্গীতের মঞ্চ বিভাজনকে বিশ্বাস করে না। মানব জীবনকে বিভাজন করা যায় না। ধর্ম ভিন্ন হলেও ভাগাভাগি করতে দেবেন না। বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করা হলেও বাংলার আশেপাশে কেউ আসতে পারবেন না। এই সোনার মাটিকে রক্ষা করতে হবে। নোবেল প্রাইজ থেকে শুরু করে যেটাই দেখবেন সবটাই বাংলায়। লোকো শিল্পীদের তুলে এনেছে রাজ্য সরকার। লোকো শিল্পীরা বেশি করে সরকারি প্রচারে অংশ নিন করোনার কারণে শিল্পীদের সমস্যা হয়েছে। আরো বেশি করে সচেতন থাকতে হবে’। আজ উদ্বোধনের পর আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে কলকাতার ১০টি মঞ্চে ‘বাংলা সঙ্গীতমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সঙ্গীতমেলায় কলকাতার ১০টি মঞ্চে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সঙ্গীতশিল্পী,সঞ্চালক, যন্ত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। এই সঙ্গীতমেলায় কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানে তিনি সঙ্গীত শিল্পীদের জন্য সরকারি কাজের খতিয়ান দিয়ে বলেন, ‘বোলপুরে একটা বাউল একাডেমী তৈরি করে দিয়েছি, তৈরি হচ্ছে বাউল বিতান। এই বছর কোভিডের জন্য অনেক অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রায় এক বছর শিল্পীদের কোন আয় নেই। তাই সরকারি মেলায় সঙ্গীত শিল্পীদের সুযোগ দেওয়া হবে।’ এদিন সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে কৃতী শিল্পীদের সঙ্গীতসম্মান ও সঙ্গীত মহাসম্মান পুরষ্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে পুরস্কার প্রাপক এক শিল্পীর সঙ্গে নাচতেও দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই বছর সঙ্গীত মহাসম্মাণ পেয়েছেন অসীমা মুখার্জী। ২১জন পেয়েছেন সঙ্গীত সম্মাণ। এদের মধ্যে রয়েছেন পন্ডিত শুভেন চ্যাটার্জী, ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়, মীনা মুখার্জি, মংলাকান্ত রায়, মণিকমল ছেত্রী, নূর আলন, মুক্তি বৈরাগ্য, বাসন্তী হেমব্রম, হাড়িরাম কালিন্দী, সন্ধ্যারানী মাহাতো, ইমরান খান, নূরজাহান চিত্রকর ও হীরামণি মান্ডি।