রাতের শহর মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়, একথা হরবখতই করে থাকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠে গেল রাতের শহর পুরুষদের জন্যও নিরাপদ কিনা! কারন বুধবার রাতে খাস কলকাতার বুকে এক মদ্যপ তরুণীর হাতে নিজের গাড়িতেই নিগৃহীত হলেন এক অ্যাপ ক্যাব চালক। তবে ঘটনার সঙ্গে ওই মদ্যপ যুবতীর সঙ্গে আরও ৫জন যুবক ছিল। তাঁরাও মদ্যপ অবস্থাতেই ছিল আর তাঁরাও ওই অ্যাপ ক্যাব চালককে মারধর করেন। সেই সঙ্গে ভাঙচুরও করা হয় ওই ক্যাবটিতে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা শহরের হো চি মিন সরণীতে। জানা গিয়েছে, নিগৃহীত ক্যাব চালক গণেশ সাউ এখন উল্টোডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা হলেও আদতে ঝাড়খণ্ডের লোক। মাত্র তিনমাস আগে কলকাতায় পা রেখেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই শহরের রাস্তাঘাট এখনও ভালো করে চেনেন না তিনি। এই অবস্থাতেই একটি নামী অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালকের কাজে যোগ দেন তিনি। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও গনেশ ক্যাব নিয়ে বের হন। রাত ন’টা নাগাদ ডি সি দে রোড থেকে হো চি মিন সরণী পর্যন্ত রাইড বুকও নেন তিনি। পিকআপ পয়েন্ট থেকে মদ্যপ অবস্থায় এক যুবতী তাঁর গাড়িতে উঠেন। চালক গণেশের দাবি ড্রপ লোকেশন হো চি মিন সরণীর দিকে যাওয়ার সময় যুবতী তাকে ভিন্ন জায়গায় নামানোর জন্য জোর করতে থাকেন। তারপর দ্বিতীয়বারের নির্ধারিত লোকেশন এ যাওয়ার পথে ১৩ নম্বর হো চি মিন সরণী কাছে যুবতীর বন্ধুরা তাঁকে পাকড়াও করে। গণেশবাবুর বয়ান অনুযায়ী, বুধবার রাত প্রায় দশটা নাগাদ পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাওয়া করে তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তা থেকে বেরিয়ে আসে বেশ কয়েকজন যুবক। একজন ক্যাবে থাকা যুবতীর বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিয়ে বান্ধবীকে অযথা শহর ঘোরানোর অভিযোগে চালককে মারধর করেন। ওই যুবকের বন্ধুরা গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। এরপর যুবতী ও তার বন্ধুরা চম্পট দেয়। এরপর এই ঘটনায় ওই মহিলা যাত্রী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে গণেশবাবু লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শেক্সপিয়ার সরণি থানায়। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।