প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির জনপ্রিয়তম নেতা হতে পারেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে দিদি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এতো জনপ্রিয় নন। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর অভিমত, এই জনপ্রিয়তাই মমতাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি, বিজেপির হাওয়াকেও নস্যাৎ করে দিয়েছেন প্রশান্ত। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে বিজেপি দাবি করে আসছে, পশ্চিমবঙ্গে তারা ২০০-এরও বেশি আসন জিতে রাজ্যের কুর্সি দখল করবে। রাজ্যে সেই হাওয়ার ছিটেফোটা পর্যন্ত নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত। কয়েক মাস আগে ট্যুইট করে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি দুই অঙ্কের গণ্ডি ছাড়াতে পারবে না। এদিনও সেই অবস্থানে অনড় ছিলেন ভোট কৌশলী। প্রশান্তের কথায়, যদি ওরা (বিজেপি) তিন সংখ্যায় পৌঁছতে পারে, তাহলে আমি আর কারও হয়ে ভোট ম্যানেজারের কাজ করব না। সেবার তাঁর টুইটের বয়ান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এদিন প্রশান্ত তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এই জায়গা ছেড়ে দেব। তার মানে এই নয় যে, আমি টুইটার ছেড়ে দেব। আমি ভোটের দায়িত্ব আর নেব না। তবে, ১০ বছরের মমতা সরকারের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশান্ত। যদিও তা সার্বিক নয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, আপনি যদি গোটা রাজ্য ঘুরে দেখেন, তাহলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ পাবেন। কিন্তু, তারপরেও বেশিরভাগ মানুষ দিদিকেই ভরসা করে। সেকারণেই এটা দিদির ভোট। আর তৃণমূলই ক্ষমতা ধরে রাখবে। একইসঙ্গে, তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদ-বিধায়কের বিজেপিতে চলে যাওয়াকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেছেন, তৃণমূল একটা বড় দল। তাই ২৫-৩০ জন বিধায়ক চলে গেলেও পার্টি ভেঙে পড়ে না।