মালদা

ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মালদা বনিকসভার সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু

মালদা, হক জাফর ইমামঃ ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মালদা বনিকসভার সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। বাংলাদেশ পাথর রপ্তানির আড়ালে চলছে বেআইনি পাথর পাচার চক্র। এর পিছনে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের মদত। সম্প্রতি এক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেন বণিকসভার সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু।আর তাতেই ক্ষেপে উঠেছেন পাথর রপ্তানির সাথে যুক্ত রপ্তানিকারক ও ট্রাক মালিকরা। তাদের বক্তব্য, জয়ন্ত কুন্ডুর এমন মন্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তিনি মহদীপুর থেকে পাথর রপ্তানি ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চাইছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে পাথর রপ্তানির সাথে জড়িত রয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার। জয়ন্ত কুন্ডু সকলের রুটি-রুজি বন্ধ করতে চাইছেন। সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে জয়ন্ত কুন্ডুর পদত্যাগ দাবি করেন বসলেন ট্রাক মালিকের সংগঠন গৌড় ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন। এই মর্মে মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। জয়ন্ত কুন্ডু অবশ্য এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। এই নিয়ে অবশ্য তার পাশে দাঁড়িয়েছেন রপ্তানিকারক সমীর ঘোষ। ট্রাক মালিকরা রপ্তানি ব্যবসা সম্বন্ধে কি বোঝেন। সমীর ঘোষ তবে স্বীকার করেছেন, প্রসঙ্গত ভারত বাংলাদেশ মহদীপুর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দর এর যানজটের রাশ টানতে পুলিশ টোকেন পদ্ধতি চালু করে।তৎকালীন ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু পাথর রপ্তানিকারক ও চেম্বার অব কমার্সের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন। এই কমিটি টোকেন ইস্যু করবে।এই টোকেন যে রপ্তানিকারক পাবে তার গাড়ি পাথর রপ্তানিতে যাবে। তবে এই টোকেন রহস্য কিছুদিনের মধ্যেই সকলের সামনে চলে আসে।প্রকৃত পাথর রপ্তানিকারকের বদরের রাজনৈতিক নেতা প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্লাব ও বাহুবলীদের কাছ থেকে বাজারে মিলছিল। এই টোকেন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৭ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। অভিযোগ উঠেছিল মার্চেন্ট চেম্বারে সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু সপ্তাহে ছয় টি করে টোকেন পেত যা বাজারে চড়া দামে তিনি বিক্রি করেছেন অথচ সেই টাকা চেম্বারে খাতে তিনি জমা করেননি তার সাথে জড়িত ছিল চেম্বারে আরো ৪ জন সদস্য কিছুদিন আগে এই খবর সংবাদমাধ্যমেও চাওর হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কে মধ্যে জয়ন্ত কুন্ডুর নাম। সম্প্রতি এক বাংলা দৈনিকের তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন দিনের পর দিন মহদীপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত হোয়ে বাংলাদেশ বেআইনিভাবে পাথর পাচার করছে একটা চক্র। আমরা চাই এই বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করা হোক। জয়ন্ত কুন্ডুর এই বক্তব্যের নিন্দার ঝড় উঠে। মালদা গৌড় ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন এর সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন পাথর রপ্তানি কোন ভাবে বেআইনি হতে পারে না। শুল্ক দফতর বৈধ কাগজ না থাকলে কোন গাড়ি বাংলাদেশে যেতে দেবে না। রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী কড়া নজরদারিও। তাহলে কিভাবে জয়ন্ত বাবু এমন মন্তব্য করেন।তিনি তাহলে টোকেন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চাইছেন যাতে তাদের পকেটে টাকা ঢোকে।আমরা জয়ন্ত কুন্ডুর পদত্যাগ দাবি জানিয়ে মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কে চিঠি দিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আন্দোলনের পথে যাব।সুস্তানি লেবার ইউনিয়ন এর সম্পাদক রবি ঘোষ বলেন কিছু কুচক্রী প্রশাসনের নজর ফিরিয়ে সুস্থানিতে পাথর ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চাইছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।আগে বারহারোয়া ও পাকুড় থেকে পাথর এসে সরাসরি বাংলাদেশের যেত। এখন পাথর এসে সুস্তানিতে মজুত হয় তারপর ট্রাকে করে পাথর বাংলাদেশের যায়।সুস্তানী এলাকায় দুই হাজার ট্রাক খালাসী ও পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক লোডিং আনলোডিং এর কাজ করে। পাথর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে সবার পেটে লাথি পরবে। একই মন্তব্য ট্রাক মালিক আরজাউল
ইসলাম ও গাড়ি চালক বকুল শেখের।এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স এর সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। তিনি বলেন চলতি মাসের ১৫ তারিখে বণিকসভার মিটিং আছে তাতেই বলবো।