ধূপগিড়ির মমতার জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড়। আজ ধূপগিড়ির জনসভায় প্রায় এক লক্ষ্য মানুষের সমাগম দেখেছে তৃণমূল যা দলের পক্ষেই শুভ সঙ্কেত বলছে রাজনৈতিক মহিল। একেই বঙ্গের পারদ চড়ছে, তার উপর করোনা পরিস্থিতি। মাঠ ফাঁকা থাকছে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতাদের জনসভায়। কিন্তু দিন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের সভায় ভিড় বাড়ছেই। এবার উত্তরবঙ্গেও সেই একই ছবি দেখে আশ্বস্ত দল। আজ সকালেই ধূপগিড়ির জনসভায় যাওয়ার আগেই মাথাভাঙার হাসপাতাল মাঠে শীতলকুচিতে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেত্রী। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন নেত্রী। তারপরেই ধূপগিড়ির জনসভায় যান মমতা। সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরে বারামুলায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হওয়া জওয়ানের পরিবারের আত্মীয়রা। কিছুদিন আগেই ধূপগিড়ির জগন্নাথ রায় বারামুলায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন। কিন্তু তাঁর পরিবারের প্রতি চেয়ে দেখছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিন এই বিষয় নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মমতা জানান, ‘আমাদের এখানে কোনও পুলিশ মারা গেলে আমরা সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকি। কিন্তু বিএসএফ বা সিআরপিএফের কেউ মারা গেলে কেন্দ্র দেখে না কেন? অমিত শাহ তো এখানে এসেছিলেন কই জগন্নাথের পরিবারের সঙ্গে তো দেখা করেননি। আসলে এখন ভোটের সময় তো? প্রচারে ব্যস্ত। এখন আর এঁদের কথা মনে রাখার সময় কোথায়।’সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন শহিদ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন নির্বাচনের পর তাঁর পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। তবে উত্তরবঙ্গের মাটিতে আজ তৃণমূল নেত্রীর এই বিশাল সমাগমের চিত্র দেখে চিন্তিত গেরুয়া শিবির।