বিজেপির পার্টি অফিস পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত হওয়ায় তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোর পাশাপাশি প্রশ্নও উঠলো। দেশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের পাহারায় নিযুক্ত হবে তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠেছে। এই সিদ্ধান্ত কতখানি সাংবিধানিক তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ঘটনাস্থল বর্ধমান শহরের এলাকায় থাকা বিজেপির জেলা কার্যালয়। এখানেই গত কয়েক দিন ধরে বিজেপির পার্টি অফিস পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন, ছড়াচ্ছে বিতর্কও। বিজেপির দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় থাকা তাঁদের একাধিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের কর্মী, সমর্থক, নেতৃত্বদের ওপরেও নাকি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির একাধিক দলীয় কার্যালয়ে হামলার পরে তা ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দলের অস্থায়ী অফিসগুলিকে। এই অবস্থায় বিজেপির জেলা অফিস সহ বিভিন্ন বড় শাখা অফিসগুলিতে আক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রকে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করতে যাতে তারা এই দলীয় কার্যালয়গুলিকে সুরক্ষার ঘেরাটোপে রাখা হয়। এখন বর্ধমান শহরে থাকা বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ১২ জনের সশস্ত্র সিআরপিএফের একটি দল ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন। শুধু তাইই নয়, পার্টি অফিসে কারা কারা ঢুকছেন এবং বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই পার্টি অফিসের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার জেরেই এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে মোদি সরকার। প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির পার্টি অফিস কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহার দেবে? আর এভাবে পাহারা কতদিন ধরে থাকবে? তাতে কী দল আদৌ জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, এই প্রশ্ন এখন উঠে গিয়েছে খোদ জেলা বিজেপির অন্দরেই। তবে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে জেলায় বিজেপির এহেন অবস্থা দেখা এখন অনেকেই হাসছেন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।