খেলা

বিশ্বকাপে আবারও ভারতের কাছে হার পাকিস্তানের

ভারত: ৩৩৬-৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭)

পাকিস্তান: ২১২/৬ (ফখর জামান ৬২, বাবর আজম ৪৮)

ভারত  ৮৯ রানে জয়ী (ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুসারে)

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়াল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করল ভারত। প্রথম উইকেটের জুটিতেই ১৩৬ রান তুলে ফেলে মেন ইন ব্লু। লোকেশ রাহুল ৫৭ রানে আউট হলও রোহিত অনবদ্য শতরান করেন।বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে শতরান করলেন রোহিত। এটি তার কেরিয়ারের ২৪তম এবং বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এটি কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের তৃতীয় দ্রুততম শতরান (৮৫ বলে)। এদিনের ১৪০ রানের ইনিংস খেলে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান স্কোরারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন টিম ইন্ডিয়ার ‘হিটম্যান’। রোহিতের দখলে ৩১৯ রান। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি পাঁচ ম্যাচে করেছেন ৩৪৩ রান। এদিনের ১৪০ রানের ইনিংসে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন রোহিত। রোহিতের উইকেটের পরও রানের গতি কমতে দেননি কোহলি। তিনিও নিজের অর্ধশতরান করেছেন। ৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট। তিনিও এদিন অনবদ্য রেকর্ড করলেন। দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে এগারো হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেন কিং কোহলি। বিরাট-রোহিতদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাকিস্তানের সামনে ৩৩৬ রানের পাহাড় তৈরি করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্লো-ব্যাটিং ভোগানো শুরু করে পাকিস্তানকে। একসময় ফখর জামান এবং বাবর আজম জুটি বেঁধে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও কুলদীপের জাদুতে ভেঙে যায় তাদের জুটি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতকে। একের পর উইকেট খুইয়ে পাকিস্তান যখন প্রবল চাপে, তখনই বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ডাকওয়ার্স লুইস নিয়ম অনুযায়ী পাকিস্তানকে নতুন টার্গেট দেওয়া হয় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। কিন্তু নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ২১২ রানেই শেষ হয় পাক ইনিংস। প্রত্যাশিত জয়ের দিনে বিরল রেকর্ডের মালিক হন বিজয় শংকর।