বেশ কিছুদিন ধরেই টেলি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে অভিনেতা তথা সদ্য বিজয়ী তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। সরাসরি সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথা না বললেও বাবার দায়িত্ব সঠিকভাবে কাঞ্চন পালন করছেন না বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী পিংকি। এবার সরাসরি কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি। কাঞ্চনের বান্ধবী তথা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পিঙ্কির অভিযোগ, তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেছেন কাঞ্চন। মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, নিজের বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কাঞ্চন গাড়ি থেকে তাঁকে নামিয়ে হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পিঙ্কি। পিংকির দাবি, শনিবার রাতে চেতলার বাড়ির সামনে এই কাণ্ড ঘটান তাঁর স্বামী এবং স্বামীর বান্ধবী। হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মাত্র আট বছর বয়সি ছেলে কান্নাকাটি করলেও কাঞ্চন তাতে পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিউ আলিপুর থানায় FIR করেছেন পিংকি। সন্তানকে বড় করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কাঞ্চন দেন ঠিকই। কাঞ্চন-পিংকির বিয়ে হয়েছে বহু বছর। কাঞ্চনের যদিও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। পুত্রসন্তানও রয়েছে তাঁদের। কাঞ্চন এবং পিঙ্কির আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তবে সন্তানের কোনও খোঁজই নাকি রাখেননা তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলেই এবার মুখ খুললেন বলেও জানান পিংকি। অভিনয়, রাজনীতিতে ব্যস্ত স্বামীকে কাছে না পাওয়ায় অভিমান নাকি সম্পর্কের তিক্ততায় ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল’ পিংকির, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে বিধায়ক কিংবা শ্রীময়ীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে কাঞ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শ্রীময়ী দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ‘কাঞ্চনদা’র সঙ্গে পরিচিত। বিধায়কের স্ত্রী পিংকির সঙ্গেও সম্পর্ক বেশ ভালই তাঁর। কাঞ্চন-পিংকির ফ্ল্যাটেও তাঁর যাতায়াত রয়েছে বলেই দাবি। এমনকী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর পরিজনরা একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও শ্রীময়ীর দাবি উড়িয়ে দিলেন কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিংকি। তাঁর দাবি, বহু বছর বিয়ে হলেও চেতলার ফ্ল্যাটে একদিনই মাত্র শ্রীময়ীকে আসতে দেখেছেন। পিংকির সঙ্গে শ্রীময়ীর ‘হৃদ্যতা’র দাবিকেও নস্যাত্ করেছেন পিংকি। স্বামী কাঞ্চনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও, তাঁর সঙ্গে নেই বলেই সাফ জানিয়ে দেন বিধায়ক ঘরনি।
