সেক্সচ্যাটের ভয়ঙ্কর নেশা ছিল আসিফের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরীক্ষা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে সিআইডি তদন্তকারীদের। তার ল্যাপটপ থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। দাদা আরিফের বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কয়েকটি ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, এইসব ছবি দিয়েই দাদাকে ব্ল্যাকমেল করত আসিফ। নিজের কুকীর্তিকে আড়াল করতে এই উপায় নিয়েছিল সে। গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় পুলিশ। কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড আসিফকে জেরা করে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।
কেউ বলছেন, নিখুঁত পরিকল্পনা করে মা, বাবা, দিদা, বোনকে হত্যার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফ। আবার অনেকের মতে আসিফের মগজধোলাই করা হয়েছিল। তারপর থেকেই তার মনে বাসা বেঁধেছিল অপরাধপ্রবণতা। আসিফের দৈনন্দিন আচার–আচরণ নিয়ে কৌতুহলী তদন্তকারীরা। আর তা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই সেক্স চ্যাটে আসক্তির কথা উঠে এল। এই কাজে সে দাদা আরিফকেও জড়িয়েছিল। বোনের এক বান্ধবীর সঙ্গে আরিফের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি সে রেখে দিয়েছিল। তা দেখিয়েই দাদাকে ব্ল্যাকমেল করত। এমনকি বাড়ির কারও কথা শুনত না সে। পরিবারের সদস্যদের উপর চাপ তৈরি করত। এমনকী দাদাকে নাকি মেডিক্যাল পড়ার কোচিংও নিতে দেয়নি আসিফ। মঙ্গলবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা আরিফের। আবার আসিফের সঙ্গে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে, কালিয়াচকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দেহগুলিতে এখনও পচন ধরেনি বলে খবর সিআইডি সূত্রে। এখানেও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। দেহগুলি ‘অ্যাসিড বাথে’ রাখা হয়েছিল? আসিফ কি খুনের ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে করেছিল? সে জন্যই অ্যাসিড বাথ তৈরি করা? এমনই একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।