গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বাংলার সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য দাবি জানিয়ে এসেছিল তৃণমূল প্রতিনিধিদল। দেখা গেল তারপর আজ শুক্রবারই এ ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব পাঁচ জেলাকে চিঠি লিখে নির্দেশ দিয়েছেন, সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট চেকিংয়ের কাজ সেরে ফেলতে হবে। আগামী ৩ অগস্ট থেকে ৬ অগস্টের মধ্যে প্রথম ধাপের চেকিং সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন কেন্দ্রের জন্য কত জন ইঞ্জিনিয়র থাকবেন তাও বলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে এই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল ভবানীপুর, গোঁসাবা, খড়দহ, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, শামসেরগঞ্জ এবং দিনহাটা। এই কেন্দ্রগুলি কলকাতা দক্ষিণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলা নির্বাচনের অন্তর্ভুক্ত। মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রের ভোট হয়নি। তাই ওই জেলার জেলা শাসকদের এই চিঠি পাঠানো হয়নি। বাকি কেন্দ্রগুলি যে জেলার মধ্যে পড়ে সেখানকার জেলা শাসকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,বাংলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট করাতে চাইলেই করানো যায়। টিপ্পনি কেটে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোট করছে না। পাল্টা এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘লোকাল ট্রেন চালাতে পারছেন না আবার ভোট করাতে চাইছেন। লোকাল ট্রেন চলছে না কেন? তার মানে করোনা এখনও বিদ্যমান। তাহলে এই পরিস্থিতিতে ভোট হবে কী করে?’