বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইজরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও- র আইনি পদক্ষেপের হুমকি

পেগাসাসের মাধ্যমে সাংবাদিক, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, বিচারপতিদের মতো ব্যক্তিত্বদের ফোনে কান পাতার অভিযোগে উত্তাল গোটা দেশ। আর সেই সময় ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ এর মত অবস্থা ইজরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা NSO – এর। কারণ অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থার তৈরি হ্যাকিং স্পাইওয়্যার পেগাসাসের যথেচ্ছ ব্যবহার করে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিভিআইপিদের ফোনে নজরদারি চালিয়েছে রাষ্ট্রশক্তি। তবে NSO এর যুক্তি, তাদের সার্ভারে এমন কোনও তথ্য নেই। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে তারা। ওই সংস্থার দাবি, তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় জঙ্গি দমন, শিশু পাচার রোখার মত সামাজিক মানবতা ধর্মী কাজের ক্ষেত্রে। একটা মোটা টাকার বিনিময়ে প্রযুক্তি কেনে সরকার। তারপর তারা প্রয়োজন মতো ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করে। পেগাসাস তৈরি করার সংস্থাটি সেই সব তথ্যের হদিশ পায়না। তাদের সার্ভারে এমন কোন তথ্য ভান্ডার নেই। এখানেই থেমে থাকেনি ওই সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র যে দাবি করছে তাকে ভুল বলে উল্লেখ করেছে এনএসও। তদন্তমূলক গোটা রিপোর্টটি নাকি ভুল ধারণা। সাজানো তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে বানানো। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। ওই সংস্থার আরও দাবি, তাদের গ্রাহক বলে যেসব দেশের নাম করা হয়েছে সেই তালিকাও ভুল। তবে এটা তারা খোলসা করেনি যে, ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের প্রযুক্তি কেনা ও ব্যবহার নিয়ে কোনও চুক্তি হয়েছে কীনা। ইসরাইলের ওই সংস্থার বারবার দাবি, তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় জঙ্গি দমন ও মানবপাচার রোখার মত কাজের ক্ষেত্রে। বিশ্বজুড়ে এভাবে বহু সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং মানবপাচার গিয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। যদিও সফটওয়ারটি বিক্রির পর তা কাজে লাগিয়ে কী কী করা হচ্ছে, তার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও দাবি সংস্থার তরফে। এই সফটওয়্যার যে রাষ্ট্র কিনে নয়, একমাত্র তারাই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারে একমাত্র সেই দেশ। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে ভারতের ক্ষেত্রে মোদি সরকার কীভাবে তার দায় এড়িয়ে যেতে পারে? সরকারের অবশ্য দাবি, তারা ফোনে কোন বেআইনি নজরদারি চালায় নি। এমনকি পেগাসাসেরও ব্যবহার করা হয়নি।