সংসদের বাদল অধিবেশনকে পেগাসাস ইস্যুকে হাতিয়ার করে রীতিমত বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। আবারও তা সামনে এল। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশান নিয়ে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ২২৩, ২২৬, ২২৭ ধারার ভঙ্গ করার অভিযোগ তুলে লোকসভার জেনারেল সেক্রেটারিকে চিঠি লিখেছেন তিনি। গত ১৯ জুলাই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ব্যবহার করে কয়েক জনের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, অতীতেও পেগাসাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু এই রিপোর্টগুলির কোনও ভিত্তি ছিল না। যা স্পষ্ট হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া মৈত্রের কথায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের এই বক্তব্য পূর্ববর্তী তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধী। বিরোধীরা যে কথা বলছে তারও বিরোধী বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর যুক্তির স্বপেক্ষে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টেও উল্লেখ করেছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদ বলেছেন এটি সংসদীয় শৃঙ্খলার বিরোধী। মন্ত্রী যদি ইচ্ছে করে এজাতীয় বিবৃতি দেন তাহলে তা অবশ্যই অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হবে। তৃণমূল নেত্রীর কথায় মন্ত্রী চাইলে ভুল শুধরে নিতে পারেন। তবে তাঁকে তা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে। অন্যদিকে পেগাসাস ইস্যুতে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক সাংসদ শান্তনু সেনের আচরণের জন্য গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।