পাপড়ি চাট’ মন্তব্য করে দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র ও দেশবাসীকে অপমান করেছেন তৃণমূলের এক সাংসদ। বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে ডেরেকের নাম না করে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা। বরং সন্ধেয় বসলেন ‘পাপড়ি চাট’ নিয়ে। মঙ্গলবার বিকেলে ‘পাপড়ি চাট’-র ব্যবস্থা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। অন্যদিন সান্ধ্য-টিফিনে সিঙাড়া বা স্যান্ডউইচ খান। তবে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে নানা ধরনের চাট নিয়ে বসেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। তাঁর পাশে ছিলেন আর এক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। জমিয়ে চলে পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের জবাব দিতেই এই আয়োজন তা বলাই বাহুল্য। কাকলির বলেন,’দেশের জন্য বিল পাশ করা দরকার। সংবিধান আলোচনা করার অধিকার দিয়েছি। সাংসদদের বিল নিয়ে আলোচনা করতে দিচ্ছে না।’ গত ১৯ জুলাই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার পর থেকে পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে মুলতুবি হয়েছে সাংসদ। এর মধ্যে ১০ দিনে পাশ হয়ে গিয়েছে ১২টি বিল। এনিয়ে ডেরেক টুইটারে কটাক্ষ করেন, বিল পাশ করছে না পাপড়ি চাট বানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টাই করছে মোদি সরকার। পেগাসাস ইস্যুতেও লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে আলোচনার দাবি তোলা হচ্ছে অথচ কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে আছেন, এমনটাই মত রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের। আর কেন্দ্রীয় সরকার যদি পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা না করে, বিরোধী দলের কথা না শুনলে সংসদ চলতে দেওয়া হবে না বলেও কড়া হুশিয়ারি দিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তবে সংসদে অচলাবস্থা চললেও মোদি সরকার পাশ করিয়ে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি বিল। আপাতত অদিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়েছে। টুইটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। মোদিকে বিঁধে টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘সদংসদের অধিবেশনে প্রথম ১০ দিন ঝড় তুলেছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। ৭ মিনিটে একটি লাইন, এই হিসাবে আনা হল ১২ টি আইন। #MASTERSTROKE, এটা আইন না কি পাপড়িচাট বানানো হচ্ছে।’ এর পাশাপাশি পেগাসাস ইস্যুতে মোদি সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করছে তৃণমূল। পেগাসাস নিয়ে আলোচনা হোক। নয়তো সংসদ চলতে দেওয়া হবে না। পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে। পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্র নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল।