জেলা

মালদায় দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতি অনাস্থা, নতুন প্রধান নির্বাচন করল তৃণমূল

দুর্নীতি, স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ফলে সাত সদস্য বিশিষ্ট মালদা জেলার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চারজন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। যা নিয়ে ওই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল। বুধবার কড়া নিরাপত্তায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান নির্বাচন হল। চার সদস্যের ভোটে নতুন প্রধান হলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। এরপরই দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের আবীর খেলে উল্লাসে মেতে উঠতে। কয়েকদিন আগেই মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাহারুল শেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন চারজন সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তাঁরা। ফলে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করে মালদা জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। ফলে বুধবার কোনও ঝুঁকি নেয়নি জেলা প্রশাসন। মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। মানিকচক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শুরু হয় প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া। ৭ জন সদস্যই উপস্থিত হয়েছিলেন নতুন প্রধান নির্বাচন করতে। ৪ জন সদস্যের সমর্থনে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেন পঞ্চায়েত সদস্য রবিউল ইসলাম। নতুন প্রধানকে শীঘ্রই দায়িত্বভার দেওয়া হবে বলে জানান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী। অপরদিকে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান রবিউল ইসলাম জানান, আগামীদিনে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। এই আমন্ত্রণে গর্বিত বাংলা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একমাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। চিঠিতে একুশের নির্বাচনে জয়ের জন্য় মুখ্য়মন্ত্রীকে সংগঠনের তরফ থেকে অভিনন্দন জানান হয়েছে।