দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। এদিন বিকেলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর হাতে দুটি চিঠি তুলে দেন। পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্যে তিন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের মধ্যে যে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার জন্য রিভিউ করে তিন আইন প্রত্যাহারে দাবি করেছেন তিনি। গতবছরের নভেম্বর মাস থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় চিঠিতে যেসব মানুষ বিনামূল্যে সরকারি আইনি পরিষেবা পান, সেই তালিকায় কৃষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি করেছেন তিনি।দুজনের মধ্যে বৈঠকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। এব্যাপারে তিনি কৃষকদের প্রায় একবছর ধরে চালানো আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইন সংশোধনের দাবি করেছেন। এদিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘদিনের এই বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত ৪০০-র বেশি কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে পঞ্জাবের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেননা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট শক্তি কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে পঞ্জাব সরকারের তরফে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দিনের পর দিন ধরে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে শুধু পঞ্জাবের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে না, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সরকার ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা বলেছে। সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকার করেছে। তবে আইনে সংশোধন করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় চিঠিতে বলেছেন, জমি ভাগ হয়ে যাওয়া এবং লিজ-এ সমস্যা তৈরি হওয়ায় কৃষকরা আইনি জালে জর্জরিত। তাঁরা অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সারা দেশে সেন্ট্রাল লিগাল সার্ভিস অথরিটিস অ্যাক্ট ১৯৮৭-র মাধ্যমে দেশের নির্দিষ্ট সংখ্যাক মানুষকে বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা দেওয়া হয়। মূলত সমাজের দুর্বল অংশকেই এই সুযোগ দেওয়া হয়। অমরিন্দর সিং-এর দাবি কৃষকরাও এই মুহূর্তে এই দলে পড়েন। আর্থিক সমস্যায় কৃষকরা আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন। সেই কারণে লিগাল সার্ভিস অথরিটিস অ্যাক্ট ১৯৮৭-র ১২ নম্বর ধারা সংশোধন করে কৃষ্কদের অন্তর্ভুক্তির দাবি করেছেন তিনি।