বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে সোমবার থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআই। মঙ্গলবার থেকে তারা ডেকে পাঠাতে শুরু করল বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্তাদের। এদিন দেখা যায় একাধিক জেলার পুলিশ আসছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তাঁদের কারও হাতে খাম অথবা কারও হাতে ফাইল। কেউ কেউ আবার কাঁধে ব্যাগ নিয়েও ঢুকছেন। জানা গিয়েছে, জেলাগুলির থেকে ভোট পরবর্তীর হিংসার ঘটনাগুলির তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। জেলা পুলিশের তরফ থেকে তা খাম অথবা ফাইলবন্দি করে পাঠানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে ভোট পরবর্তী হিংসার বড় ঘটনাগুলির তদন্ত সিবিআইয়ের কাঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। তারপরই কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন মামলার তথ্য জানতে চায়। সোমবার সকালে সকালে কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারের দাদার বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। ভোটের ফল ঘোষণার রাতে খুন হয়েছিলেন তরুণ অভিজিত্। তাঁর দেহের তিন বার ময়নাতদন্ত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট অভিজিতের দেহের ডিএনএ পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেই নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে একাধিক বিষয়ে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই চারটি জোনে ভাগ করে চার জন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। অতীতে কোনও মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই বাংলায় চার জন জয়েন্ট ডিরেক্টরকে পাঠায়নি। কেবল রিজওয়ানউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলায় দু’জন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি।