কলকাতা

ভার্চুয়াল সংবর্ধনাঃ কৃতী পড়ুয়াদের অভিনন্দন, ১৭০০ ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে ল্যাপটপ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

চলতি বছর করোনা অতিমারীর জেরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্যান্য পরীক্ষা হয়নি। ফলে পাশের হার কার্যত ১০০ শতাংশ। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মাধ্য়মিকে ১০০ শতাংশ পাশ করলেও উচ্চমাধ্যমিকে দুই-একটা সমস্যা হয়েছিল। পরে সেগুলি শুধরে নেওয়া হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও আশির্বাদ জানিয়ে বলেন, সকলের জন্যই রাজ্য সরকার কাজ করছে। যাতে কেউ পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার। এটার লাভ উঠিয়ে সকলকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেওয়ার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কৃতী পড়ুয়াদের এবার ১৭০০ ল্যাপটপ দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরেকটি বড় ঘোষণা করলেন। রাজ্য়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কেরিয়ার গাইডেন্স পোর্টাল তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সেখানে উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা সহ চাকরিক্ষেত্রের দিশা থাকবে। শিক্ষা শেষে কোনও ছাত্রছাত্রী যাতে নিশ্চিন্ত চাকরি পায় তার জন্যই কেরিয়ার গাইডেন্স দেবেন বিশেষজ্ঞরা। ওই পোর্টালের মাধ্যমেই হবে তথ্য়ের আদানপ্রদান। দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠবেন তাদের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানান। নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ৩ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে। এদিন ভার্চুয়াল এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবসময় মনে রাখা দরকার হাসিখুশি থাকতে হবে। দুঃখ আসবে, দুঃখটাকে জয় করতে হবে। তুমি সারাজীবন রোদে ঘুরবে, বর্ষায় ভিজবে,

শরীরকে কষ্ট দিলে শরীর কি কখনও বেগ দেবে না? তবে জীবনে কখনও হতাশ হতে নেই। সব সময় মনে রাখতে হবে পজিটিভিটি। পজিটিভিটি ব্রেনের প্লাস পয়েন্ট। আমাদের ব্রেনে কত অজস্র নার্ভ আছে আমরা জানি না। আজও কত সেল আছে আমরা জানি না। আমরা যখন চিৎকার করি, রাগারাগি করি তখন আমাদের কত সেল নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য রাগারাগি করে নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজটা করতে হবে।’ করোনা আবহে যে কোনও ক্ষেত্রের মানুষেরই নানা ভাবে মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারও বেড়ে গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। মোবাইল ব্যবহার বেড়েছে পড়ুয়াদের। বাড়ির বাইরে টানা না বেরনোয় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব পড়ায় মনোবিদদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কীভাবে স্ট্রেস কমাবে ছাত্র-ছাত্রীরা সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কখনও স্ট্রেস নেবে না। হাঁটা-চলা করবে, গান শুনবে, আঁকবে, স্ট্রেস কমে যাবে। সবার সঙ্গে মেলামেশা করবে। সবসময় পড়াশুনো করতে হবে তার কোনও মানে নেই। রান্নার ঘরে গিয়ে মায়ের রান্নার খবর নেবে, একটু গল্প করে আসবে। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে মন ভাল হয়ে যাবে।’ জীবনে যতই উন্নতি করুক না কেন মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলায় ফিরে আসতে আগাম আবেদন জানিয়ে রাখলেন এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘নিজের অস্তিত্ব কখনও ভুলবে না। কেউ চাঁদে যাও। কেউ বিশ্ব জয় করো। নিজেরা যেখানেই যাও ফিরে এসো। বাংলায় ফিরে বাংলা থেকে বিশ্বটাকে জয় করো।’ পাশাপাশি তিনি পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে এও বলেন, ‘অন্যায় হলেই রুখে দাঁড়াও’।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/994782081320556