দেশ

‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ পেগাসাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার, স্থগিত রায়দান

ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে পেগাসাস সংক্রান্ত বিষয়ে ‘গোপন করার মতো কিছুই নেই’। তবে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিস্তারিত হলফনামা পেশ করা সম্ভব নয়’।আদালতে বিশেষ কমিটির কাছে সব বলতেই পারে। কিন্তু হলফনামা দিয়ে পেগাসাস সংক্রান্ত সব তথ্য দেবে না। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এ রকম করা ঠিক নয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। তার পরেই নিজেদের রায় স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আবেদনকারী— দুই পক্ষের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার বেঞ্চ জানাল, ‘‌আমরা আপাতত স্থগিত রাখছি রায়দান। এই মামলায় অন্তর্বর্তী রায় দেব। তার জন্য ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে।’‌  ইজরায়েলি সংস্থার থেকে কেনা পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে দেশে শতাধিক বিরোধী নেতা, সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, আমলাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করে একটি সংবাদ মাধ্যম। তালিকায় রয়েছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি, ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। এই নিয়ে ধুন্ধুমার শুরু হয় গোটা দেশে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জমা পড়ে। এদিন সেই শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, ‘‌আমাদের কিছু গোপন করার নেই। কিন্তু কিছু সংবেদনশীল ইস্যু রয়েছে, যা হলফনামার মাধ্যমে জনসমক্ষে আনা যায় না। মানুষের গোপনীয়তাকে সম্মান করে সরকার প্রস্তাব করছে কমিটি গড়া হোক। তার সামনে সমস্ত সত্য তুলে ধরা হবে। কমিটি প্রধান বিচারপতির কাছে জবাব দিতে বাধ্য থাকবে।’‌  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এদিন আদালতে প্রাক্তন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এবং বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সংসদে দেওয়া বিবৃতির উল্লেখ করা হয়। যেখানে তারা বলেছিলেন, সরকারের কড়া আইন ও বন্দোবস্ত উপেক্ষা করে কেউ কারও ফোনে আড়ি পাততে পারে না। এই কমিটি গড়ার ঘোরতর বিরোধিতা করেছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি আবেদনকারীদের হয়ে মামলা লড়ছেন। বেঞ্চও জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তায় আঘাত হানতে পারে, এমন তথ্য তারা চায়নি। শুধু আইন ভেঙে আড়ি পাতা হয়েছে কিনা, তা জানতে চায়। 
এনভি রামানার কথায়, ‘‌প্রশ্ন হল, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কি!‌ অর্থাৎ, আইন স্বীকৃত কোনও পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনও উপায়ে রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক এবং অন্যদের টেলিফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা।’‌ ণ ঘটনাটির নিজস্ব সমস্যা রয়েছে।