একই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেও রুজিরা হাজিরা দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দুই সন্তানকে রেখে তাঁর পক্ষে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর নিজের বাড়িতে ইডির অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়ে ইডিকে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির দাবি, কয়লা পাচার-কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার তলব করা হলেও হাজিরা দিচ্ছেন না তিনি। এরপরই আদালতের দারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির আবেদন মেনে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে। এদিকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একবার দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। এরপরই ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এখন দেখার বিষয় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন কি না অভিষেক-জায়া রুজিরা।