অভিষেক গিয়েছিলেন। তবে রুজিরা যাননি। এবার তাঁরা জানিয়ে দিলেন, চাইলে ইডি কলকাতায় এসে তাঁদের জেরা করতে পারে। গ্রেপ্তারও করতে পারে। দিল্লি হাইকোর্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীর পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এই মামলায় আদালতের মধ্যস্থতাও চান না তাঁরা। সোমবার অভিষেক এবং রুজিরার হয়ে মামলাটি লড়েন কপিল সিবাল। শোনেন বিচারপতি যোগেশ খান্না। এদিন সিবাল বলেন, ‘এই মামলায় আদালতের থেকে জবরদস্তি পদক্ষেপের অনুরোধ করছি না।’ যদিও এই মামলার শুনানিতে সোমবার অনুপস্থিত ছিলেন ইডি-র আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু। ফলে সোমবার এই শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়। মঙ্গলবার শুনানি রয়েছে। বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিষেককে দিল্লির দপ্তরে ডেকে ৯ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রুজিরা যদিও জানিয়েছেন, এই করোনা আবহে বাচ্চাদের নিয়ে বা একা কলকাতায় রেখে তিনি দিল্লি যেতে পারবেন না। তবে কলকাতায় তিনি ইডি-র জেরার মুখে বসতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন। ইডি-র ওই সমন খারিজ করার জন্য দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক এবং রুজিরা। যদিও তাঁদের অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সোমবার শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। তাতেই অভিষেক এবং রুজিরা কলকাতায় এসে তাঁদের জেরা করার কথা বলেছেন।