ভোটে অশান্তি রুখতে রাস্তায় থাকছেন ৫ জন যুগ্ম কমিশনার, ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার ও ১৪ জন অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার, নেতৃত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী
ভোটের দিন আর কোনওরকম অশান্তি চায় না প্রশাসন। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নিরাপত্তায় ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে চলেছে। তার মধ্যে এক কোম্পানি মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের জন্য। আট কোম্পানি মোতায়েন থাকবে দক্ষিণ ডিভিশনের জন্য। আর ৩৬ ঘণ্টা পরেই চলতি দশকের অন্যতম হেভিওয়েট নির্বাচন দেখবে রাজ্যবাসী। সেই কারণেই আগেভাগে ১৪৪ ধারা জারি করা হল গোটা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে। লালবাজারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলেই একটি নির্দেশিকা জারি করে ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। ২৮৭৯৭ টি ভোট গ্রহণের কেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন করা হবে ১০০ জন ট্র্যাফিক সার্জন্টকে। কলকাতা পুলিশের মোট ৯টি থানা
এলাকায় ভোটগ্রহণ হবে সেখানে থাকবে ডিসি। প্রত্যেক থানা এলাকার দায়িত্বে একজন করে ডিসি। শুধু একজন ডিসি দুটি থানা এলাকার দায়িত্বে। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন একজন করে এসি সহ ২০-২৫ জনের ফোর্স। আবার দুটি করে থানা এলাকার দায়িত্বে দু’জন করে যুগ্ম কমিশনার। পুলিস সূত্রের খবর, অশান্তি রুখতে রাস্তায় থাকছেন ৫ জন যুগ্ম কমিশনার, ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার ও ১৪ জন অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার। আর পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী। কাল, বুধবার থেকেই ভোটের কাজে নিযুক্ত বাহিনী এলাকায় পৌঁছে যাবে। ওই দিন সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮টি জায়গায় থাকবে পুলিস-পিকেট। শুধু ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ৯টি জায়গায় ‘হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড’ (এইচআরএফএস) মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া থাকছে ২৩টি আরটি মোবাইল ভ্যান। ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর -এই তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।