খেলা

আরসিবি-কে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে কেকেআর

আরসিবি: ১৩৮-৭ (কোহলি ৩৯, পাড়িক্কল ২১)
কেকেআর: ১৩৯-৬ (গিল ২৯, নারিন ২৬)
কেকেআর ৪ উইকেটে জয়ী।  

আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে আরসিবি। পাওয়ার-প্লে তে ভাল গতিতে রান তুলছিলেন পাড়িক্কল এবং বিরাট। প্রথম উইকেটের জুটিতেই ৪৯ রান তোলেন তাঁরা। কিন্তু প্রথম উইকেটের পতনের পরই ঘুরে যায় খেলার মোড়। কার্যত একাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন নারিন। ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল, ডি’ভিলিয়ার্সদের মতো বড় নামের তারকারও সেই তালিকায় আছেন। নাইটদের হয়ে দুটি উইকেট নেন লকি। মূলত এই দুই বোলারের দাপটেই আরসিবির সম্ভাবনাময় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৮ রানে। এই পিচে ১৩৯ রানের টার্গেট খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু নাইট ব্যাটসম্যানরা ‘সবে মিলি করি কাজ’ নীতিতে বিশ্বাসী। ছোট ছোট জুটি বেঁধে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তাঁরা। শুরুটা এদিনও ভাল করেন গিল এবং আইয়ার। প্রথম উইকেটের জুটিতে নাইটরা তোলে ৪১ রান। শুভমন গিল করেন ১৮ বলে ২৯। আইয়ার (২৯), নীতীশ রানাও (২৩) উপযোগী ইনিংস খেলেন। আইয়ারের উইকেটের পর মনে হচ্ছিল পরপর উইকেট হারিয়ে নাইটরা চাপে পড়ে যেতে পারে। তখনই ফের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নারিন। এবার ব্যাট হাতে। ক্রিশ্চিয়ানের এক ওভারে ৩টি গগনচুম্বি ছক্কা হাঁকান সুনীল। তাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় নাইটদের দিকে। ১৫ বলে ২৬ রান করেন নারিন। কিন্তু নারিনের উইকেটের পর ফের চাপে পড়ে যায় নাইটরা। ৪ ওভারে ১৯ রান তুলতেও হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। যদিও শেষ পর্যন্ত শাকিব এবং মর্গ্যান লক্ষ্যে পৌঁছে দেন নাইটদের।