এবছর কলকাতার সব থেকে বড় আকর্ষণ হল শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের ‘বুর্জ খলিফা” (Burj Khalifa)। দুবাইয়ের ‘বুর্জ খলিফা’র আদলে সেজে উঠেছে শ্রীভূমির মণ্ডপ। প্রতি বছরই সুজিত বসু পরিচালিত এই পুজো নজর কাড়ে। তবে এবারে গোটা শহরের সব পুজোকে পিছনে ফেলে একাই এগিয়ে চলেছে বুর্জ খলিফা। চতুর্থী থেকেই শ্রীভূমিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। ষষ্ঠী, সপ্তমীর থেকেও বেশি ভিড় চোখে পড়ল অষ্টমীতে। এ বছর আগে থেকেই আলিপুর হাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। যদিও অষ্টমীর সন্ধে পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। কিন্তু মানুষ রিস্ক নিতে চায়নি। চোখের সামনে বুর্জ খলিফা না দেখলেই যে নয়। তাই একেবারে প্রথম দিন থেকে সকলে ছুটেছেন বুর্জ খলিফায়। এ প্রসঙ্গে সুজিত বসু জানান, “প্রতি বছরই আমাদের পুজোর একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে মানুষের কাছে। তবে এবারে সব ভিড়টাই শ্রীভূমিতে হচ্ছে। সকলেই এবার শুধু শ্রীভূমির ঠাকুর দেখতে চাইছেন। আজ অষ্টমীতেও ঠাসা ভিড়। এখনও দু’দিন বাকি আছে।” তিনি আরও জানান, “মানুষকে বলবো, তাড়াহুড়ো
করবেন না, সতর্কতা মেনে, কোভিড নিয়ম মেনে ধীরে ধীরে ঠাকুর দেখুন। এবং সকলে আনন্দে পুজো কাটান।” যদিও ইতিমধ্যে শ্রীভূমির লেজার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষের তরফে। নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে মণ্ডপের বাকি আলোকসজ্জা একই রয়েছে। বিকেল পাঁচটাতেই শ্রীভূমি যেন জন সমুদ্র হয়ে উঠেছিল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। সকলে ছুটছেন বুর্জ খলিফায়। চোখের সামনে দুবাই। না গেলে কি আর হয়! তবে এই জনস্রোত কিন্তু ভয়ও ধরাচ্ছে মনে। কারণ করোনা এখনও কিন্তু চলে যায়নি। ভিড় নিয়ন্ত্রণে আজ রাত ৮ টা থেকেই শ্রীভূমির পুজো মণ্ডপের বাকি আলোও নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল মণ্ডপের সমস্ত আলো এখন বন্ধ। শুধুমাত্র মণ্ডপ প্রাঙ্গনের আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে মানুষের আসা যাওয়া কোনও অসুবিধা না হয়। শ্রীভূমির পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতেই এই আলো নেভানোর সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। শ্রীভূমির পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে আলো নিভে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, “সব আলো বন্ধ হয়নি। বাইরের কাঠামোর আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে আপাতত। মানুষের যে ভিড় এসেছে, সেই ভিড় যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্যই আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে।”