রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর পেয়ে গিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও তাঁকে পিছু ছাড়ছে না কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে গরহাজির থাকার বিষয়টি। এ নিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাল অনুসন্ধান কমিটি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপনের আচরণবিধি নিয়ে আগেই গঠিত হয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। এবার সেই কমিটির থেকে ডাক এল। গত ২৮ মে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটিতে ইয়াস পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বপ্ন সময়ের জন্য গিয়েছিলেন তত্কালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরক্ষণেই প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দিঘায় চলে যান। আর তারপরই খাঁড়া নেমে আসে আলাপনের ওপর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে তাঁর মেয়াদ বাড়ালেও পরে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে নেওয়া হয়। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইনে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না-লিখিত ভাবে আলাপনবাবুর কাছে জবাব চায় কেন্দ্র। তার জবাব দিয়েছিলেন তিনি। উত্তরে গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রক চিঠি পাঠিয়ে জানায়, অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজিরা অথবা লিখিত ভাবে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে আলাপনবাবুকে। তার অন্যথায় অনুসন্ধান কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ করতে পারে। তবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আচরণবিধি নিয়ে অভিযোগ তোলা যুক্তিযুক্ত নয়। তার কারণ, রাজ্যের তত্কালীন মুখ্যসচিব হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও তাঁকে মানতে হয়। এদিকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহজে হাল ছাড়বেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল অর্থাত্ ক্যাটের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি।