৭৮ এ কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়ির ভিতর থেকে জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত দেহ দুটি ওই বাড়ির মালিক ও তাঁর গাড়ি চালকের। তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বাড়ি মালিক নিউটাউনের বাসিন্দা সুবীর চাকি, চালক রবীন মণ্ডল। সূত্রে খবর, কাঁকুলিয়া রোডে ওই পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির কথা চলছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিউটাউনের বাড়ি থেকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসেন বছর একষট্টির প্রৌঢ় ও তাঁর গাড়িচালক। সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য ফোনে কাউকে ডাকা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ় ও গাড়িচালকের। পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী ও গড়িয়াহাট থানায় বিষয়টি জানান। এরপরই পুলিশ এসে একতলা থেকে মালিক ও দোতলা থেকে চালকের দেহ উদ্ধার করে। দেহদুটির ঘাড়, কবজি ও পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও। জানা যাচ্ছে, রবিবারই রাতেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোকজন গড়িয়াহাট থানায় ফোন করে জানায়, সুবীরবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ। তাঁর ও তাঁর চালকের খোঁজ মিলছে না। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। রাতে পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে।