কলকাতা

কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় নেত্রীকে ধর্ষণ মামলার শুনানি শুক্রবার

কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে আগামী শুক্রবার ৷ ওই দিন আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানাল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানির পর শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট এই ধরনের আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে শুনানি করতে পারে বা যে অন্তর্বর্তী জামিন রয়েছে তার মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিতে পারে ৷ সুপ্রিম কোর্ট ওই দিন মামলাটির নিষ্পত্তি করেনি । আজ হাইকোর্টে যখন মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে, তখন সব পক্ষের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন । পাশাপাশি রাজ্যের তরফে উল্লেখ করা হয়, এই মামলার তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । ফলে এই মামলার তদন্ত সময়সাপেক্ষ । যদিও নির্যাতিতার তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আগের দিনের মতো আজও অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণ করেনি । হাইকোর্টের এই মামলা গ্রহণ করার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত সাধারণ মানুষের কাছে । কারণ নবমীর দিন ছুটির মধ্যে এই মামলার শুনানির জন্য আদালত গ্রহণ করেছে শুধুমাত্র এরা প্রভাবশালী বলে । আর যিনি নির্যাতিতা, তাঁকে প্রতিদিন হুমকি দেওয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।” যদিও বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেছেন, বিচারপতিদের কাছে কলকাতা হাইকোর্ট, দিল্লি হাইকোর্ট বা অন্যান্য হাইকোর্টের কোনও তফাৎ নেই । আদালতে কোনও সেন্টিমেন্টের জায়গা নেই । বিষয়টি বিচার হবে আইনের ভিত্তিতে । আগামী শুক্রবার আদালতে দ্বিতীয়ার্ধে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি করা হবে বলে জানান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । গত ২৫ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ ৩ বিজেপি নেতার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট । আগামী 1 নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ । এই মামলাটির ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল । সেই কারণে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী মামলাটি শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন । তারপরই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় ২৭ অক্টোবর মামলাটির শুনানি হবে ফের কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে । কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ।